দূতাবাসে হামলা চালিয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হত্যার জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে ইরান। দেশটিকে লক্ষ্য করে শনিবার রাতে শতাধিক অত্যাধুনিক ড্রোন ছুড়েছে ইরান। পাশাপাশি ক্রুজ মিসাইল ও ব্যালাস্টিক মিসাইলও নিক্ষেপ করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ইসরায়েলের সময় শনিবার রাত ১২ টার আগে হামলা শুরু করে ইরান। মার্কিন সামরিক বাহিনী বিষয়টি বুঝতে পারার সাথে সাথে ইসরায়েলকে জানিয়ে দেয়।
এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ড্রোনগুলো ধ্বংস করতে তৎপরতা শুরু করেছে। ইসরায়েলের সীমানার বাইরেই এসব ধ্বংস করতে চায় তারা।
সামরিক সূত্রগুলো বলছে, প্রথম দফায় কয়েক ডজন ড্রোন নিক্ষেপ করে ইরান। পরে আরও কয়েক দফা মিলিয়ে শতাধিক ড্রোন ছোড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে ড্রোনগুলো ইসরায়েলের সীমানার কাছাকাছি এলে ক্রুজ ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে ইরান। যেগুলো আঘাত হানতে ১০-১৫ মিনিট সময় লাগবে। সবশেষ রাত সোয়া তিনটার দিকে টাইমস অব ইসরায়েল অসমর্থিত সুত্রের বরাতে জানায়, ইরান ইতোমধ্যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানীতে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালিয়ে বেশ কজন উচ্চপদস্থ ইরানি কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করে ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের হুমকি উপেক্ষা করেই হামলা শুরু করেছে ইরান।
এদিকে হামলা শুরুর পর লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ বাহিনি রকেট ছোড়া শুরু করেছে। ইসরায়েল যাতে বিভ্রান্ত হয়ে ইরানি হামলা ঠেকাতে না পারে সেজন্যেই এই চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সিরিয়া তার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করেছে। জর্ডান হাই এলার্ট জারি করেছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরায়েলের প্রতি ইরানি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। জরুরি বৈঠকে বসেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো দেশ যদি ইরানে হামলা চালাতে ইসরায়েলকে আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেয়, তাহলে ইরান ওই দেশকেও সামরিকভাবে জবাব দেবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন