আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জাল করার মামলায় দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সোহাগকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
রবিবার দুপুরে দিনাজপুরের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন এই আদেশ প্রদান করেন।
দিনাজপুর কোট পুলিশ পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন জানান, রবিবার ভাইস চেয়ারম্যান সোহাগ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। বিকেলে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ৫২ হাজার ৪২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, গত বছর ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের পূর্বে নিজেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর সংবলিত একটি অনুমতিপত্র নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর দিনাজপুর প্রেসক্লাবের এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সোহাগ।
বিষয়টি নজরে আসলে গত বছরের ৮ অক্টোবর দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষর জাল করে দিনাজপুর জেলা কমিটিতে শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মরহুম সাব্বিরুল আহসান ছবির স্থলে নিজেকে উক্ত পদে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, সোহাগ গত ৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সম্মুখে ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত একটি সিলযুক্ত কাগজ প্রদর্শন করেন।
মামলার বাদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরটির বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী এ্যাড. মোস্তাফিজুর ফিজার এমপি ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ বা মতামত ছাড়া কাউকে অন্তর্ভুক্ত করার গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ড করতে পারি না এবং এ ধরনের স্বাক্ষরিত কাগজ প্রদান করিনি। যদি সোহাগ এ ধরনের প্রদর্শন করে তবে ওই কাগজ সম্পূর্ণ জাল বলে গণ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, রবিউল ইসলাম সোহাগ নামে কাউকে আমি চিনি না।
এ ধরনের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর যুক্ত কাগজ প্রদর্শন হয়ে থাকলে তিনি থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন