মিনার রশিদ
এক.
জেলখানায় বন্দি মাওলানা সাঈদীর যে শারীরিক পরিস্থিতি হয়েছিল এমন অবস্থায় কর্তৃপক্ষের প্রথম কর্তব্য ছিল তাঁর পরিবার বর্গের কাছে চিকিৎসার দায়িত্ব অর্পন করা! এমতাবস্থায় পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে না দিয়ে সরকার জঘন্যতম কাজটি করেছে। তাছাড়া চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন এক ছাত্রলীগ নেতা। পুরো বন্দিকালীন সময়ে, বিশেষভাবে শেষ সময়ে চিকিৎসায় অবহেলাটি স্পষ্ট হয়েছে!
এটা সরাসরি হত্যার শামিল। জুডিশিয়াল কিলিং এর পর এটি হলো মেডিকেল কিলিং! জেলখানার এবং চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিত করে রাখুন। এদের বিচার এই বাংলার মাটিতে ইনশাআল্লাহ হবে!
দুই.
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের মৃত্যুতে যে শোকবার্তা দিয়েছেন সেই পোষ্টটিতে গত ১১ ঘন্টায় ১১৭ হাজার লাইক, ১৯ হাজার মন্তব্য এবং ৫.২ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের একটি শোকবার্তাও ভাইরাল হয়েছে।
তিন.
মাওলানা সাঈদীর এই মেডিকেল কিলিংটি সম্ভবত একটা টেস্ট কেইস! সরকার এটিকে হজম করতে পারলে সামনে আরও বড় টার্গেটটি নিয়ে অগ্রসর হতে পারে। সেটা হতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া! জনাব তারেক রহমানের স্ট্যাটাসটিতে রিএক্ট/ মন্তব্য করে জনগণ সম্ভবত এরকম একটা ম্যাসেজ দিতে চাচ্ছে বা আকুতি জানাতে চাচ্ছে। সবাই মরার জন্যে একসাথে প্রস্তুত হলে কাউকে মরতে হবে না। কিন্তু বাঁচার জন্যে বিচ্ছিন্ন হলে কেউ বেঁচে থাকতে পারব না!
কেন যেন মনে হচ্ছে, জাতীয়তাবাদী ও ইসলামি শক্তির একটা অপূরণীয় ক্ষতির মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের সকলের দৃষ্টিটা সম্ভবত খুলে দিবেন!
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সহায় হোন, আমাদের উপর রহম করুন, আমাদের নেতৃবর্গকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন