তাসনিম খলিল
বাংলাদেশের মিডিয়ায় যে কতো অদ্ভুত-উদ্ভট তথ্য ছাপা হয়! মিনিমাম ফ্যাক্ট-চেকটাও এরা করে না। বাংলা ট্রিবিউনে জাকির হোসেন নামক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কলাম (শান্তির দূত বঙ্গবন্ধু ও জুলিও কুরি পদক, ২৩ মে ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে। কলামের প্রথম প্যারা: ‘জুলিও কুরি পদক’ হচ্ছে বিশ্ব শান্তি পরিষদের নোবেল খ্যাত একটি অতি সম্মানজনক পদক। ১৯০৩ সালে ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ও মেরি কুরি স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে পদার্থবিদ্যায় এবং ১৯১১ সালে এককভাবে রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী দম্পত্তি বিজ্ঞান সাধনা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে অবদান রেখেছিলেন, তা অবিস্মরণীয় করে রাখতে ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়। বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে, শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য স্মরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে থাকে।’ জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ছিলেন মারি কুরির মেয়ের জামাই। মারি কুরির হাসব্যান্ড পিয়েরে কুরি, এই দম্পতি ১৯০৩ সালে যৌথভাবে নোবেল পান, আর মারি কুরি ১৯১১-তে আবার নোবেল পান। মারি আর পিয়েরের মেয়ে আইরিন কুরি, তিনি বিয়ে করেন জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও-কে। বিয়ের পরে তারা দুজনেই জুলিও-কুরি সারনেইম নেন। এইসব জিনিসতো আমরা বাচ্চাকালে পড়ছি। অথচ, এই অধ্যাপক মেয়ের জামাইয়ের সাথে মারি কুরির বিয়ে দিয়ে দিছে! ফেসবুক থেকে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন