রাসুল (সা.) বলেছেন, যেই ব্যক্তি আজানের দোয়াটি পড়বে, তার জন্য আমার সুপারিশ হালাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি যদি আজানের জবাব দেন, তাহলে আপনার জন্য রাসুলের সুপারিশ হালাল হয়ে যাবে। এটি অনেক বড় একটি নেয়ামত। যারা আজানের সময় এর জবাব না দিয়ে কথা বলেন, তারা এই নেয়ামত থেকে মাহরুম হয়ে যায়।
আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একই সময়ে কয়েক মসজিদের আজান শুনলে প্রথম আজানের জবাব দিলেই হয়ে যাবে। তবে বেশি সওয়াব পেতে চাইলে প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা জবাব দিতে হবে। তবে সেই আজানেরই জবাব দিতে হবে যা সহি-শুদ্ধভাবে এবং সুন্নত তরিকায় দেওয়া হয়। ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুলুল্লাহ’-এর জবাব হলো তাই যা আজানে বলা হয়। ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’-এর জবাব হলো ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’। কিন্তু যদি কেউ এটা না জানে তাহলে হুবহু আজানের শব্দ বলে দিলেও জবাব হয়ে যাবে।
‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’-এর জবাব হলো ‘সাদাকতা ওয়া বারারতা’। এ বাক্যের অর্থ হলো, হে মুয়াজ্জিন! তুমি ঠিক বলেছ যে, ঘুমের চেয়ে নামাজ ভালো। তাই ঘুম ছেড়ে নামাজ পড়তে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর পক্ষ থেকে আমার এই নামাজের যদি প্রতিদান পেয়ে থাকি তাহলে হে মুয়াজ্জিন, তুমিও এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। কারণ তুমিই তো আহ্বান করে মসজিদে আমাকে নিয়ে এসেছ। অনেকে ইকামাতের জবাব দেয় না, এটা ঠিক নয়। ইকামাতের জবাব দিতে হয়।
ইকামাতের মধ্যে একটি বাক্য বেশি আছে। তাহলো ‘কাদকামাতিস সালাহ’। এর জবাব হলো ‘আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’। এই জবাবের দ্বারা উদ্দেশ্য হলো বর্তমানে নামাজ আদায় ও মৃত্যু পর্যন্ত তার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তৌফিক চাওয়া।
রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজানের জবাবে অনুরূপ বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম শরীফ)। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহিভাবে আজানের জবাব দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন