প্রশ্ন: আস সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহ্ বারাকাতহু। কুরআনী শব্দ সালাত, সাওম, মুসলিম, আল্লাহ্, ইত্যাদি বর্জন করে উক্ত কুরআনী শব্দগুলির পরিবর্তে নামাজ, রোজা, মুসলমান, খোদা ইত্যাদি ব্যাবহার কত সালে কে শুরু করেছিলেন এবং আমরা কুরআন বহির্ভূত শব্দ ব্যাবহার করে গুনাহগার নই কেন?
উত্তর: ‘কুরআনী শব্দ বর্জন’ বাক্যটাই বেমানান। বলা উচিত যে, কুরআনী শব্দের অনুবাদ ভিন্ন ভাষায় করার হুকুম কী?
আর দ্বিতীয় প্রশ্ন হবে যে, কুরআনে কারীমের অনুবাদ ভিন্ন ভাষায় করা জায়েজ কি না?
যদি উত্তর হয় যে, কুরআনী শব্দের অনুবাদ জায়েজ এবং কুরআনের অনুবাদ করাও জায়েজ। তাহলে আপনার প্রশ্নটির কোনো হাকীকতই বাকি থাকে না। কারণ, যদি কুরআনী শব্দের অনুবাদ ও কুরআনের অনুবাদ করা জায়েজ হয়ে থাকে, তাহলে সাওম, সালাত, মুসলিম, আল্লাহ ইত্যাদি শব্দের যথার্থ অনুবাদ অবশ্যই জায়েজ।
আর যদি আপনি বলেন যে, কুরআনী শব্দ বা কুরআনকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা জায়েজ নেই, তাহলে আপনার প্রশ্নটি যথার্থ।
কিন্তু পুরো মুসলিম উম্মাহের মাঝে কোনো বিজ্ঞ আলেম কুরআনী শব্দের যথার্থ অনুবাদ করা বা কুরআনে কারীমকে অন্য ভাষায় ভাষান্তর করাকে হারাম বা নাজায়েজ তথা গোনাহের কাজ বলে ফাতাওয়া দিয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই।
সুতরাং আপনার প্রশ্নটিই একটি অহেতুক ও অপ্রয়োজনীয় বলে সাব্যস্ত হচ্ছে।
সৌদী সরকারের পক্ষ থেকে পুরো পৃথিবীব্যাপী কুরআনের বাণী পৌঁছে দেবার জন্য বিভিন্ন ভাষায় কুরআন অনুবাদ করে তা প্রকাশ করা হচ্ছে। বাংলা, হিন্দী, উর্দু, আরবী, ইংরেজী এবং ফার্সি ভাষায় তা প্রকাশ করে ফ্রি বিতরণ করা হচ্ছে। এ অনুবাদ করা হারাম বা নাজায়েজ কিংবা গোনাহের কাজ বলে আজ পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞ আলেম ফাতওয়া দিয়েছেন বলে আমাদের জানা নেই। সুতরাং কুরআনী শব্দের অনুবাদ করলে গোনাহ হবে এমনটি ধারণা করাই অজ্ঞতার পরিচায়ক। সূত্র: আহালে হক মিডিয়া।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন