শীতকাল শুরুর পর থেকেই বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে নেয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। তবে, আজ শুক্রবার দূষিত শহরের দিক থেকে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেছে কুমিল্লা।
জনবহুল শহর কুমিল্লার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে আছে। আর আজ ঢাকার অবস্থান নবম, এটিও অস্বাস্থ্যকর। শীর্ষ দূষণের দিক থেকে প্রথমে আছে পাকিস্তানের শহর লাহোর।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)-এ কুমিল্লার স্কোর রেকর্ড করা হয়েছে ১৭৯; যার অর্থ শহরটির বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। আর ঢাকার স্কোর ১৬২। এলাকাভিত্তিক হিসেবে আজিমপুর ১৬০ স্কোর নিয়ে ঢাকার মধ্যে শীর্ষ দূষিত এলাকা হিসেবে শুক্রবার স্থান করে নিয়েছে।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন ও৩।
এদিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুদূষণ পরিমাপকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের বৈশ্বিক শহরের তালিকার তথ্য বলছে, ২২৭ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছিল পাকিস্তানের লাহোর শহর।
একই সময়ে ২০৩ একিউআই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীনের ওহান শহর, ১৯৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে পাকিস্তানের করাচি, চতুর্থ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই। আর ১৭২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভিয়েতনামের শহর হ্যানয়।
তালিকা অনুযায়ী, ভালো বায়ুর তালিকায় শূন্য স্কোর নিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্রের শহর সানফ্রান্সিসকো।
পরিবেশবিদরা বায়ু দূষণের এমন অবস্থা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে বলে জানান। তাই শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেন এবং বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর প্রধানত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন