সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনার দাপটে। লকডাউন অনেক দেশ। এরই মধ্যে ভারত-বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে চলেছে সুপার সাইক্লোন আম্পান। পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক খারাপ হতে পারে, সেই দিকে তাকিয়ে দুই দেশ।
এরই মধ্যে আরও বড় এক আশঙ্কার বার্তা দিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানাচ্ছেন, সৌর ন্যূনতম অবস্থায় চলে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সূর্যের শরীরে সৌর কলঙ্কের চিহ্নও হ্রাস পাচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সূর্য বর্তমানে ‘সোলার মিনিমাম’ পরিস্থিতিতে রয়েছে। ফলে পৃথিবীতে সূর্যের স্বাভাবিক সময়ে সরবরাহ করা তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। পৃথিবীর প্রতি সূর্যের কার্যকলাপ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এর ফলে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের শঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। এরফলে বিশ্বজুড়ে ভূমিকম্প ও দুর্ভিক্ষের মতো ভয়ংকর দুর্যোগ দেখা দিতে পারে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রাও নীচের দিকে নামতে পারে।
বিশ্বখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. টনি ফিলিপস দ্য সানকে বলেছেন, সূর্যের সোলার মিনিমাম চলছে। এটি অত্যন্ত গভীর। সানস্পট গণনা থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি বিগত শতাব্দীর সবচেয়ে গভীরতম অবস্থানে রয়েছে। সূর্যের চৌম্বকীয় শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই কারণে মহাজাগতিক রশ্মি সৌরজগতে অতিরিক্ত মাত্রায় প্রবেশ করছে। ফলে পৃথিবীর ভয়ঙ্কর দিকে এগোচ্ছে।
জোতির্বিজ্ঞানী টনি ফিলিপস আরও বলেন, সৌরজগতে অতিরিক্ত মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করলে নভোচারী ও মেরু-অঞ্চলের জন্য তা হবে বিপজ্জনক। এছাড়া এটি পৃথিবীর ওপরের বায়ুমণ্ডলের বৈদ্যুতিক-রসায়নকে প্রভাবিত করে এবং বজ্রপাতও বাড়াবে।
১৮১৬ সালে পৃথিবীর বহু দেশে হঠাৎ করেই বরফ পড়তে শুরু করেছিল। বিজ্ঞানীদের কাছে এই ঘটনা ‘ডাল্টন মিনিমাম’ বলে পরিচিত। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা সূর্যের এই লকডাউনে যাওয়ার ঘটনায় ‘ডাল্টন মিনিমাম’ এর পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
সেক্ষেত্রে শীতপ্রধান দেশে তীব্র শীত, ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি, দুর্ভিক্ষ এবং আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন