মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে ফুসফুসের সুস্থতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ফুসফুস আক্রান্ত হলে শরীরের অন্য অনেক অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিকল হয়ে যেতে পারে। এজন্য শিশুকাল থেকেই ফুসফুসের যত্ন নেওয়া উচিত। বিশ্ব লাং (ফুসফুস) দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে রোববার দুপুরে যুগান্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এমন তাগিদ দিয়েছেন। বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালের সহযোগিতায় এ গোলটেবিলের আয়োজন করে যুগান্তর।
আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশে শীর্ষ পাঁচটি প্রাণঘাতী রোগের মধ্যে রয়েছে সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ), নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও পক্ষাঘাত। এসব রোগের মধ্যে সিওপিডি ও নিউমোনিয়া ফুসফুস সংক্রান্ত। ফুসফুসের সমস্যার ফলে অ্যাজমা, লাং ক্যানসার, যক্ষ্মা, নিউমোথোরাক্সসহ আরও অনেক রোগ হয়। প্রতি বছর ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফুসফুস দিবসে বিশ্বব্যাপী ফুসফুসের রোগসংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপিরেটরি সোসাইটি (এফআইআরএস) দিবসটি পালন করে। এ বছর সংস্থাটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘লাং হেলথ ফর অল’ অর্থাৎ সবার জন্য সুস্থ ফুসফুস।
গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন যুগান্তরের উপ-সম্পাদক এহসানুল হক বাবু। যুগান্তরের স্বাস্থ্য পাতার সম্পাদক ডা. ফাহিম আহমেদ রুপমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন এভারকেয়ার হাসপাতালের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ডা. রশ্মি জাহান, হাসপাতালের সিএমই কমিটির চেয়ারম্যান ও পেডিয়াট্রিকস অ্যান্ড নিওটেনালজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট অধ্যাপক ডা. ইশতিয়াক হোসাইন, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন, হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিস বিভাগের পরিচালক ডা. আরিফ মাহমুদ, মেডিকেল আইসিইউ বিভাগের সহকারী কনসালট্যান্ট ডা. মাহফুজ আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় বক্ষ্যব্যাধি ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ সাহেদুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, বেসরকারি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. কাজি তারিকুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হাসপাতালের (ঢাকা) চিফ মার্কেটিং অফিসার বিনয় কাউল, এজিএম ইহিতা হোসাইন অহনা, সহকারী ব্যবস্থাপক রাদিয়া লোদী, উপব্যবস্থাপক মাইনুল হক প্রমুখ। বক্তৃতা করেন দৈনিক যুগান্তরের চিফ রিপোর্টার মাসুদ করিম এবং বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবুল খায়ের চৌধুরী।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, ফুসফুস মেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি অঙ্গ, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে ব্যবহৃত হয়। এর প্রধান কাজ হচ্ছে বাতাস থেকে অক্সিজেনকে রক্তপ্রবাহে নেওয়া এবং রক্তপ্রবাহ হতে কার্বন ডাই-অক্সাইডকে বাতাসে নিষ্কাশন করা। এই গ্যাস আদান-প্রদান করা হয় বিশেষায়িত কোষ দ্বারা তৈরি খুবই পাতলা দেওয়ালবিশিষ্ট লক্ষাধিক বায়ু থলি, যাকে অ্যালভিওলাই বলে। শ্বাসকার্য ছাড়া ফুসফুসের অন্য কাজও আছে। তারা বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ফুসফুসের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে শুধু অ্যাজমা রোগে ভুগছেন প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ। শুধু তাই নয়, দেশের চল্লিশোর্ধ্ব ২১ শতাংশ মানুষ ফুসফুসের বিশেষ রোগ সিওপিডিতে ভুগছেন। এ রোগের ৬২ শতাংশই ধূমপায়ী। তাই সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের জন্য সুস্থ ফুসফুস অপরিহার্য।
ডা. এসএম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পরিবেশ দূষণসহ নানা কারণে দেশে মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ফুসফুসের রোগে ভুগে থাকেন। এ রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ুদূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দরিদ্রতা ও সামাজিক সচেতনতার অভাব। তিনি আরও বলেন, আমরা যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাহেবকে (বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম) হারিয়েছি কোভিডের সময়। তার আত্মার শান্তি কামনা করছি। বিশ্বে বর্তমানে ৮০০ কোটি মানুষ রয়েছে। এর মধ্যে ৬১ কোটি ৪৭ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। যারা এখনো আক্রান্ত হননি তাদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। আমেরিকায় এ পর্যন্ত ২শ’র বেশি লাং ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। আমাদের দেশে এটা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশেও উন্নত চিকিৎসা রয়েছে। কোভিডের সময় আমরা শুধু চিকিৎসা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করিনি। রোগীকে হাসপাতালের বেডে অথবা তার বাড়িতে রেখেও পর্যবেক্ষণ করেছি।
এহসানুল হক বাবু বলেন, ফুসফুসের রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। ফুসফুস ভালো রাখতে সচেতনতার বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল ও ননটেকনিক্যাল সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা কথা দিচ্ছি এ বিষয়ে যেকোনো লেখা বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আপনারা যারা বিশেষজ্ঞ তারা যুগান্তরে নিয়মিত লিখবেন। আপনাদের জন্য আমাদের দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। তিনি আরও বলেন, রোগীদের ধূমপান না করার পরামর্শ দেওয়ার আগে চিকিৎসকদের ধূমপান বাদ দেওয়া উচিত। তা না হলে রোগীরা চিকিৎসকের সিগারেট খাওয়া দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। তিনি তার নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে বলেন, আমার ফুসফুসের সমস্যা আছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আমি নিয়মিন হাঁটার মাধ্যমে এখনো অনেক সুস্থ ও কর্মক্ষম আছি।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ সাহেদুর রহমান খান বলেন, আমি পাঁচ বছর জাতীয় বক্ষব্যাধি ইসস্টিটিউটের পরিচালক ছিলাম। এটি বক্ষব্যাধি চিকিৎসায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইসস্টিটিউট। এখানে সারা দেশ থেকে দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার রোগী আসেন। বহিঃ ও আন্তঃবিভাগে সবসময় রোগীর চাপ থাকে। তাই ৬৭০ বিছানার হাসপাতালকে এক হাজার ৫০০ বেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ফুসফুসসংক্রান্ত যে পাঁচটি রোগের কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে সিওপিডি, অ্যাজমা, টিউবারকোলোসিস, ব্রঙ্কিউকারসিনোমা, নিউমোনিয়া উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, সাধারণত একজন ব্যক্তির ফুসফুস ১০ বছর পর্যন্ত বাড়তে থাকে। এই সময় ফুসফুসের প্রতি বেশি যত্নবান না হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে সন্তান গর্ভে আসার পর থেকেই মাকে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ও বাবাকে ধূমপানমুক্ত থাকতে হবে। জন্মের পর দুগ্ধদানের সময় থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত দূষিত পরিবেশ থেকে দূরে রাখতে হবে। এ ছাড়া বাড়িতে পোষা বিড়াল, পাখি, কার্পেট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে, যে ভাইরাসই হোক সেটি লাংয়ের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে। এজন্য পরিবার থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারিভাবে অ্যাকশন প্লান নিয়ে তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, লাং দিবসের উদ্দেশ্য ফুসফুস সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। ফুসফুসের রোগ সিওপিডি একটি নীরব ঘাতক। প্রতি বছর বিশ্বে ২০০ মিলিয়ন মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে ৩২ লাখ রোগী মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে নগরায়নের বিকাশের সঙ্গে অ্যাজমা রোগটি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। বিশ্বে প্রতি বছর অ্যাজমা রোগে ২৬২ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। ২০২০ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে ২২ লাখ লাখ মানুষ নতুন করে ফুসফুসের ক্যানসারে শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১৮ লাখ মারা গেছে। ফুসফুসের সমস্যা হিসাবে নিউমোনিয়া শিশু মৃত্যুর বড় একটি কারণ। এ রোগে বছরে ২৪ লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। যক্ষ্মাতেও মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে আমরা কলেরা, ফাইলেরিয়া, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া নির্মূলের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এই অর্জনগুলো ধরে রাখতে হবে।
অধ্যাপক ডা. কাজি তারিকুল ইসলাম বলেন, যখন করোনার ডেল্টা ধরনের চরম অবস্থা, তখন কোভিড নিয়ে একজন রোগী পপুলার হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার পাঁচ দিনের অক্সিজেন খরচ হয় ২০ হাজার টাকা। সে সময় ফুসফুসের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যারা বেঁচে ফিরেছে লাং ফাইব্রোসিস নিয়ে বেঁচে আছে। তিনি আরও বলেন, সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে প্রাকৃতিকভাবে সারাজীবন আমরা কত অক্সিজেন নিচ্ছি। এর জন্য কোনো টাকা দিতে হচ্ছে না। স্বাভাবিক প্রাকৃতিক অক্সিজেন প্রতিনিয়ত আমাদের ফুসফুসের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখছে। এজন্য প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে।
ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, কোভিডের গত আড়াই বছরে আমাদের দেশে স্বাস্থ্য খাতের যে অর্জন সেটি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে চিকিৎসক-নার্সরা জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে রেফারেন্স হিসাবে সেবা দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে টারশিয়ারি লেভেলের হাসপাতালগুলোর মধ্যে এভারকেয়ার অন্যতম একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। এখানে ফুসফুসসহ সব ধরনের চিকিৎসা বিশ্বমানের হয়। শুধু এভারকেয়ার নয় অন্যান্য বড় বেসরকারি হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে রোগীরা যাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিতেও সুলভমূল্যে চিকিৎসা নিতে পারে সেজন্য স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি চালু করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. রশ্মি জাহান বলেন, ফুসফুসের বিভিন্ন অসুখ মানুষকে নানাভাবে পঙ্গু করে দিচ্ছে। যেমন অ্যাজমা হলে একজন মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া ফুসফুসের অন্য রোগে জীবনও চলে যেতে পারে। ফুসফুসের সুস্বাস্থ্যের জন্য সব ধরনের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। রোগ আছে কিনা সেটি আগে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর দেখতে হবে জটিলতা আছে কিনা। এর পরই জানতে হবে সেই রোগের চিকিৎসা কী। এর পরই যথাস্থান থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, লাকড়ির চুলায় রান্না করলেও ফুনফুসের সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে সিওপিডি হতে পারে। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি অক্সিজেন ব্যবহারেও সচেতনতা বাড়ানো দরকার। এভারকেয়ার হাসপাতালে অ্যাজমা নিয়ে সব ধরনের চিকিৎসা রয়েছে।
অধ্যাপক ডা. মো. ইশতিয়াক হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও বেশি প্রোগ্রাম করা দরকার। ফুসফুস এমন একটা অঙ্গ যেটি আক্রান্ত হলে শরীরের সব অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। তাই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। ফুসফুসের সাধারণত পাঁচটি রোগ হয়ে থাকে। এগুলো হলো-সিওপিডি, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, লাংক ক্যানসার ও অ্যাজমা। এসব রোগের বেশির ভাগই প্রতিরোধ সম্ভব। আগে থেকেই জানতে পারলে সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। বর্তমানে আমাদের দেশে পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর হার কমে এসেছে। শিশুকাল থেকেই বাবা ও মাকে শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকতে হবে।
ডা. মাহফুজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, করোনাকালে এভারকেয়ার হাসপাতাল আইসিইউর মাধ্যমে ব্যাপক সেবা দিয়েছে। তিনি বলেন, আইসিইউতে কী ধরনের অক্সিজেন সাপোর্ট দরকার সেটি বড় বিষয়। একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক মাপের অক্সিজেন দিতে হয়। সেটি সময়মতো নির্ধারণ করা জরুরি। এক্ষেত্রে অনেক চিন্তা করেই ওই সময় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রোগীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাউন্সেলিং করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালে স্বয়ংসম্পূর্ণ আইসিইউ পরিচালনা টিম আছে। যারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে। এছাড়া অনেক অভিজ্ঞ কনসালট্যান্টও কাজ করছেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন