যেকোনো বয়সেই অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে বাচ্চাদের এই রোগ হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, অ্যাজমা থেকে স্বস্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে কিছু ভেষজ চা ব্যবহার করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত ভেষজ চা সাময়িকভাবে আপনাকে অ্যাজমা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।
আদা চা : আদায় থাকা প্রয়োজনীয় উপাদান হাঁপানি রোগীদের লক্ষণগুলি কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই হাঁপানির লক্ষণ দেখা দিলে খেতে পারেন আদার চা। এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ আদা বাটা যোগ করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
গ্রিন টি : গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারী উদ্ভিজ্জ যৌগ গুলির দ্বারা পরিপূর্ণ, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গ্রিন টি তে থাকা Epigallocatechin Gallate (EGCG) নামক উদ্ভিজ্জ যৌগ থাকে। এটি ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা ক্যাফেইন হাঁপানি রোগ উপশম করতে পারে। ১ কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে ১ চা-চামচ গ্রিন টি পাতা যোগ করুন। এরপর চাপা দিয়ে রেখে দিন ৫ মিনিট। এবার ছেঁকে নিয়ে সেই চা পান করুন।
যষ্টিমধুর চা : যষ্টিমধুর চা যষ্টিমধু গাছের মূল থেকে তৈরি হয়। এটি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যষ্টিমধুর চা সাময়িকভাবে হাঁপানির লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। এক কাপ পানিতে এক চামচ শুকনো যষ্টিমধু দিয়ে দিন। সেই পানি পাঁচ মিনিট ধরে ভালো করে ফোটাতে থাকুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
ইউক্যালিপটাস চা : ইউক্যালিপটাস গাছ ঔষধি গুনাগুণ এর জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই গাছের পাতাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কিছু উদ্ভিজ্জ যৌগ রয়েছে, যা হাঁপানির লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে। ইউক্যালিপটলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য হাঁপানির লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সহায়তা করে। এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ শুকনো ইউক্যালিপটাস পাতা যোগ করুন। পাঁচ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে নিয়ে সেই চা পান করুন।
*** এই সমস্ত চা কিন্তু অল্পমাত্রার হাঁপানির লক্ষণ এর ক্ষেত্রে কার্যকর। যখনই লক্ষণগুলি বেশি মাত্রায় দেখা দেবে এবং শারীরিক কষ্ট বৃদ্ধি পাবে, দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন