বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত দেশগুলোতে করোনা মহামারির পিক টাইমের আচরণ একেক রকম। কোথাও এসেছে আগে, আবার কোথাও পরে। সবার আগে কোভিড-১৯ আঘাত হানে চীনে। কিন্তু শনাক্তের ৭৭ দিনের মাথায় পিক টাইম পার করার ঘোষণা দেয় দেশটি। আর করোনা শনাক্তের ৯১ দিন পার করে সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায়ের ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য ও ইতালি। যুক্তরাষ্ট্রে দুই দফা সংক্রমণ বেড়েছে, আর ভারতে এই মহামারির পিক পিরিয়ড নিয়ে দ্বিধায় আছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বাংলাদেশে ইতোমধ্যে করোনার পিক এসে গেছে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরবানির ঈদের সময় পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ও সুরক্ষার পদক্ষেপ না নিলে দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
ওয়ার্ল্ডমিটারের তালিকার করোনা সংক্রমণের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর পরিসংখ্যান
শনাক্তের ১১৮ দিন পর বাংলাদেশে প্রথম দফায় পিক অতিক্রম
বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর ২ জুলাই ১১৮তম দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ৪ হাজার ১৯ জন। তবে আগেই গত ১৭ জুন ৪ হাজারের ঘরে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। এর ২২ দিন পর আবারও ৪ হাজার পার হয়, মাঝের দিনগুলোতে আর ৪ হাজার অতিক্রম করেনি। গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা পজিটিভ শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত ৩ হাজার ৪৮৯। সর্বশেষ ২১ জুলাই শনাক্ত হয় ৩ হাজার ৫৭ জন। অর্থাৎ, ২ জুলাইয়ের পর ধীরে ধীরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে থাকে।
করোনা বিষয়ক সরকারের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সালের মতে, বাংলাদেশ এখন করোনার পিক পার করছে। জুলাইয়ের সর্বোচ্চ শনাক্তের পর পরিসংখ্যান সমান্তরাল রেখায় নেমে যাওয়ার ঘটনাকে পিকের সময় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে আসন্ন কোরবানি ঈদের সময় এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারলে আগস্ট মাসে দ্বিতীয় পিকের সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
ডা. আবু জামিল ফয়সাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আইইডিসিআরের ডাটা থেকে বলতে পারি, আমরা যে টেস্ট করছি এবং টেস্ট করে যে পজিটিভ রোগীর সংখ্যা পাচ্ছি, এটা দেখেই বুঝা যায় আমরা পিকে পৌঁছেছি। যখন সংক্রমণ একটি চরম চূড়ায় অবস্থান করে এবং তারপর যখন নিচের দিকে নামতে শুরু করে, তাহলেই কিন্তু বুঝা যায় চূড়াটা কোথায়। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ওইভাবে ঠিক চূড়াটা বুঝা যাবে না। আমরা দেখছি যে জুলাইয়ের এই সপ্তাহের শুরুর দিকে যেরকম ছিল এখনও ঠিক সেরকম আছে। আমরা ধরে নেবো এটাই পিক। একটা পিকে পৌঁছে আমরা সমান্তরাল রেখায় চলছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ইতোমধ্যে পিক চলে গেছে এবং ইতোমধ্যে আমরা পিকের দ্বিতীয় ধাপের দিকে যাচ্ছি। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে পিকটি শুরু হয়েছে। এখানেই আমরা দুই-তিন সপ্তাহ থাকবো। সংক্রমণ কতটুকু হচ্ছে এটা দেখে আমাদের ধারণা হয়েছে, এখনই আমরা পিকে পৌঁছে গেছি। কিন্তু সামনে কোরবানির ঈদের কারণে যে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি, তার মধ্যে আছে বড় পরিসরে গরুর বেচাকেনা এবং ব্যাপক পরিসরে মানুষের বাড়ি ফেরা এবং আসা। এগুলো যদি সরকার করতে দেয়, তাহলে দ্বিতীয় ওয়েভ আরেকটি হবে এবং আমরা হয়তো আরেকটি পিক দেখতে পাবো। সেটা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে না হলেও দ্বিতীয় সপ্তাহে দেখা দিতে পারে।’
ডা. জামিল বলেন, ‘এখনকার পিক এবং বর্তমান অবস্থাটা ধরে রাখার জন্য আমাদের সবারই চেষ্টা করা উচিত।’
৭৭ দিনে পিক শেষ হওয়ার ঘোষণা দেয় চীন
বিশ্বে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয় চীনে, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। যদিও তখন এটা অজ্ঞাত রোগ হিসেবে বিবেচনায় ছিল। এরপর চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি চীন জানায়, এই অজ্ঞাত রোগটির নাম করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯। চীনে করোনার সংক্রমণ শুরুর পর গত ৩১ জানুয়ারি অর্থাৎ শুরুর ৬৩ দিন পর পজিটিভ শনাক্তের সংখ্যা ২ হাজার অতিক্রম করে। এর ৩ দিন পর ৬৬তম দিনে ৩ হাজার অতিক্রম করে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে কম সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হলেও হঠাৎ করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সর্বাধিক ১৪ হাজার ১০৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত এটাই একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক শনাক্ত। এরপর আর এই পরিমাণ করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এর পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজারে নেমে যায় শনাক্ত এবং তার পর থেকে শনাক্তের সংখ্যা কমতেই থাকে। সর্বশেষ হাজারের ঘরে শনাক্ত হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি এবং তারপর থেকে ৩ অঙ্কের ঘরে চলে আসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। ৩ অঙ্কের ঘরে মার্চের ৫ তারিখ পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকে, সেদিন শনাক্ত হয় ১৪৩ জন। অর্থাৎ ২৩ দিনে তিন অঙ্কের ঘরে ১৪৩ জনে নেমে আসে শনাক্ত। এরপর আবারও ১২ এপ্রিল শনাক্ত হয় ১০৮ জন এবং ১৭ এপ্রিল ৩২৫ জন। এখন পর্যন্ত আর শনাক্ত বাড়েনি চীনে। এ পর্যন্ত চীনে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ৬০২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮ হাজার ৬৪৮ জন। অর্থাৎ চীনে করোনা ধরা পড়ার পর ৬৯ দিনে শনাক্তের হার কমে যায়।
মার্চে যখন সর্বাধিক শনাক্ত হয়, তারপর চীনের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ঝং ন্যানশাং বলেছিলেন, যদি সব দেশ চীনকে অনুসরণ করে তাহলে এই মহামারি জুনের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পাশাপাশি মার্চ মাসে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মুখপাত্র সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, নতুন শনাক্তের সংখ্যা কমছে এবং সর্বোপরি মহামারির আকার এখানে বেশ ছোট হয়ে এসেছে। হুবেই প্রদেশে এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে শনাক্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১২ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়। এর পরদিন ১৩ মার্চ শনাক্তের ৭৭তম দিনে চীন জানায়, তারা করোনা মহামারির চূড়া অতিক্রম করেছে।
১৬৮ দিনেও পিক নিয়ে দ্বিধায় আছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা
গত ৫ জুলাই দিল্লির রাজ্য সরকারের কোভিড ১৯ বিষয়ক ৫ সদস্যবিশিষ্ট প্যানেলের সদস্য ডা. সন্দীপ বুদ্ধিরাজা দাবি করেন, যেহেতু দিল্লিতে সুস্থতার হার বেড়েছে তাই বলা যায়— এখানে পিক শেষ হয়েছে। তার আগের দিন ৪ জুলাই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘খুব কম সংখ্যক মানুষের এখন হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে। বেশিরভাগই বাসায় সুস্থ হচ্ছেন। গত সপ্তাহে ২ হাজার ৩শ’র মতো নতুন আক্রান্ত ছিল। এর আগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৫ হাজার। এই মুহূর্তে প্রায় ১০ হাজার করোনা বেড খালি আছে।’
তবে গত ১৫ জুন ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে বলেছে, ভারতের পিক ৮ সপ্তাহের লকডাউনের কারণে কিছুটা পিছিয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, নভেম্বরের মাঝামাঝি করোনার পিক আসতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা। যদিও সংস্থাটি পরদিন (১৬ জুন) দাবি করে, ‘এই গবেষণা ভিন্নভাবে মিডিয়ায় উপস্থাপিত হয়েছে এবং আইসিএমআর তাদের আগের অবস্থানেই আছে।’
জানা যায়, ভারতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত ৩০ জানুয়ারি। এরপর শনাক্তের সংখ্যা এক হাজার অতিক্রম করে ২৮ মার্চ, ১০ হাজার ছাড়ায় ১৪ এপ্রিল, ৫০ হাজার ছাড়ায় ৭ মে, এক লাখ ছাড়ায় ১৯ মে, দেড় লাখ ছাড়ায় ২৭ মে, ২ লাখ ছাড়ায় ৩ জুন, ৩ লাখ ছাড়ায় ১৩ জুন, ৪ লাখ ছাড়ায় ২১ জুন, ৫ লাখ ছাড়ায় ২৭ জুন, ৬ লাখ ছাড়ায় ২ জুলাই এবং ৭ লাখ ছাড়ায় ৭ জুলাই এবং ৮ লাখ অতিক্রম করে গত ১১ জুলাই। তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ভারতে সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত এক লাখ শনাক্ত হয়েছে মাত্র ৫ দিনে। এত কম দিনে লাখ শনাক্ত এর আগে আর হয়নি। ভারতে সংক্রমণের হার কমেনি বরং দিন দিন বাড়ছে। গত ১২ জুলাই সর্বাধিক শনাক্ত হয়েছে একদিনে ২৯ হাজার ১০৮ জন। তবে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৬৩ শতাংশ।
ভারতের বিশেষজ্ঞরা করোনার পিক নিয়ে আছেন দ্বিধার মধ্যে। তাদের কেউ কেউ মনে করেন, ভারতে কয়েক দফা পিক আসবে। তবে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর চেয়ে সুস্থতার হার বেশি। ভারতে বর্তমানে করোনা সক্রিয় রোগী আছেন ৩ লাখের ওপরে এবং সুস্থ হয়েছেন সাড়ে ৫ লাখ। দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডেভিন নারাং গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘ভারতে কয়েকটি পিক আসতে পারে। ভারতের প্রত্যেকটি এলাকার আলাদা আলাদা নিজস্ব পিক থাকতে পারে।’
৯১ দিনে পিক শেষ হওয়ার ঘোষণা দেয় ইতালি
ইতালিতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় গত ৩১ জানুয়ারি। এর তিন মাস পর ৩০ এপ্রিল সংক্রমণ কমে যাওয়ায় পিক শেষ হওয়ার ঘোষণা দেয় সে দেশের সিভিল প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট। ৪ মে থেকে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা দেয় ইতালির সরকার। দেশটিতে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা দেয় মার্চ মাসে। ২১ মার্চ একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ৬ হাজার ৫৫৩ জন। দেশটিতে করোনা শনাক্তের ৫১তম দিনে এটাই ছিল সর্বাধিক সংখ্যক শনাক্ত। এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণের সংখ্যা কমতে থাকে। গত ২৬ মার্চ শনাক্ত হয় ৬ হাজার ২০১ জন। ২১ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৬ হাজারের নিচেই থাকে শনাক্তের সংখ্যা। ৩০ মার্চ থেকে শনাক্তের সংখ্যা নেমে আসে ৪ হাজারের ঘরে। এরপর আর শনাক্ত বাড়েনি।
যুক্তরাষ্ট্রে ৭৬ দিনে প্রথম এবং ১৭৩ দিনে দ্বিতীয় পিক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০ জানুয়ারি। এরপর সর্বাধিক শনাক্তের ঘটনা ঘটে এপ্রিল মাসে। ৪ এপ্রিল একদিনে ৩৪ হাজার ৬৮৫ জন এবং ২৪ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ ৩৯ হাজার ১২৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। অর্থাৎ প্রথম শনাক্তের ৭৬ দিন পর সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে থাকে। এরপর ২৫ জুন একদিনে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজার ২৩৬ জন। ২৪ এপ্রিলের পর ৬১তম দিন পর্যন্ত ওই সীমা আর অতিক্রম করেনি। কিন্তু ২৫ জুন ৪০ হাজারের ওপরে শনাক্তের পর থেকে দ্রুত বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। ২৬ জুন শনাক্ত হয় ৪৭ হাজার ৩৬৫ জন, ১ জুলাই ৫২ হাজার ৩৬১ জন, ৩ জুলাই ৫৮ হাজার ৯১০ জন, ৮ জুলাই ৬১ হাজার ৮৪৮ জন এবং ১০ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ৭১ হাজার ৭৮৭ জন, অর্থাৎ শনাক্তের ১৭৩তম দিনে সর্বাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
গত ২৪ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এখনও করোনার পিকে পৌঁছায়নি। যুক্তি হিসেবে সংস্থাটি বলেছে, ‘যেহেতু বিশ্বে করোনা সংক্রমণ এক কোটির কাছাকাছি। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা— গ্রীষ্মকালে ধীরগতির সংক্রমণ শীতকালে আরও ব্যাপকভাবে মৌসুমি ফ্লু’র মাধ্যমে ছড়াতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালিউশন আশঙ্কা করছে, অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখেরও বেশি মৃত্যু হতে পারে। বর্তমানে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, সংখ্যায় যা ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭২ জন।
যুক্তরাজ্যে পিক অতিক্রম করে ৯১তম দিনে
যুক্তরাজ্যে করোনায় প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৩১ জানুয়ারি। এরপর মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২৭ মার্চ ২ হাজার ৬০৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। এরপর ৫ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৫ হাজার ৩৩২ জন। দেশটিতে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় গত ১০ এপ্রিল, একদিনে ৭ হাজার ৮৩৭ জন। অর্থাৎ, প্রথম শনাক্তের ৭১তম দিনে এই সর্বাধিক সংখ্যার শনাক্ত হয় যুক্তরাজ্যে। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে শনাক্তের সংখ্যা, ১ মে ৫ হাজার ৬০২ জন এবং ৬ মে ৫ হাজার ৫২০ জন শনাক্তের পর আর ঊর্ধ্বমুখী হয়নি করোনার সূচক। ২৭ জুন থেকে শনাক্তের সংখ্যা ৩ অঙ্কের ঘরে নেমে আসে।
করোনা শনাক্তের সংখ্যা একদিনে সাড়ে ৫ হাজারে নেমে আসার মুহূর্তে গত ৩০ এপ্রিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ঘোষণা দেন, তার দেশ করোনা মহামারির চূড়া অতিক্রম করেছে। অর্থাৎ তার দাবি, ৯১তম দিনে করোনার পিক অতিক্রম করেছে যুক্তরাজ্য।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন