স্থূলতা, ডায়াবেটিস, জন্ম বা বংশগত ত্রুটি হাইপারটেনশন, হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া ইত্যাদি কারণে সাধারণত হৃদরোগ হয়ে থাকে। এ রোগের উপসর্গগুলো হলো- বুকব্যথা (মনে হবে, কেউ সুই দিয়ে হৃৎপি- খোঁচাচ্ছে) নাড়ির গতি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বাভাবিকতা, শরীরের রঙ ধূসর বা নীলাভ হয়ে যাওয়া, চোখের চারপাশ ফুলে যাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। প্রাকৃতিক উপায়ে এ রোগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা সম্ভব।
রসুন, পেঁয়াজ, মাছ, জলজ উদ্ভিদ, বাদাম, কালিজিরা, জয়তুন ও সূর্যমুখীর তেল, অর্জুন ছাল, ডালিম, সয়া প্রোটিন, স্ট্রবেরি, গোলাপ ইত্যাদি হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকারী। গুরুপাক জাতীয় খাবার (বিরিয়ানি, টিকিয়া, কাবাব, ফাস্টফুড), লাল মাংস, কলিজা, চিংড়ি, ইলিশ মাছ ইত্যাদি খাদ্য শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই পরিত্যাজ্য। আমাদের গ্রামাঞ্চলে সঠিক রোগ নির্ণয় কেন্দ্রের অভাব এবং একই সঙ্গে রোগ নিরাময় কেন্দ্রের খরচও বেশি। তাই প্রাকৃতিক উপায়ে উপসর্গ দেখে রোগের প্রাথমিক নির্ণয় একটি কার্যকর পদ্ধতি। এ সম্পর্কে আমাদের সবার সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
লেখক : বিশিষ্ট হারবাল
গবেষক ও চিকিৎসক
০১৯১১৩৮৬৬১৭, ০১৬৭০৬৬৬৫৯৫
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন