কিডনির অসুখে ভুক্তভোগীদের জন্য সুখবর শুনিয়েছেন মার্কিনপ্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী শুভ রায়। এই বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁর আবিষ্কৃত প্রতিস্থাপনযোগ্য কৃত্রিম কিডনি ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন বছরের পর বছর। খরচও খুব একটা বেশি নয়। ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের তুলনায়, তাঁর তৈরি কৃত্রিম কিডনির খরচ অনেকটাই কম। এর ফলে, সাধারণ মানুষের চিকিত্সা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা লাঘব হবে।
বিশ্বে কিডনি রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নানাবিধ কারণের মধ্যে এর একটা বড় কারণ নিয়ন্ত্রণহীন ব্লাডসুগার। ডায়ালাইসিস করে, ডোনারের কিডনির অপেক্ষায় কেটে যায় বছরের পর বছর। সব সময় যে কিডনি পাওয়া যায়, তা-ও নয়। আবার কিডনি ডোনারের যদিও বা সন্ধান মেলেও, অস্ত্রোপচার এতটাই ব্যয়বহুল, সবার পক্ষে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সরকারি হাসপাতালের অপেক্ষায় থেকেও বছর ঘুরে যায়। এক্ষেত্রে আশার কথা শুনিয়েছেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী শুভ রায়।
জানা গেছে, শুভ রায়ের জন্ম ১৯৬৯ সালে, বাংলাদেশের ঢাকায়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণারত তিনি। কিডনি প্রোজেক্ট তাঁর গবেষণার বিষয়বস্তু। শুভের সঙ্গে এই আবিষ্কারে অবদান রয়েছে নেফ্রোলজিস্ট উইলিয়াম এইচ ফিসেলের। ইতিমধ্যে কিডনির অসুখে ভুক্তভোগী অনেক রোগীর শরীরে সফলভাবে কাজ করছে তাঁদের আবিষ্কৃত কৃত্রিম কিডনি।
ওই বিজ্ঞানী জানান, হিমোডায়ালাইসিসের মতোই কাজ করে কৃত্রিম কিডনি। বায়ো-রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে রক্তকে পরিস্রুত করে, শরীরকে টক্সিনমুক্ত রাখে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক জানান, পরীক্ষা সফল হয়েছে। খুব শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসতে চলেছে কৃত্রিম কিডনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন