পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডিম। নিয়মিত ডিম খেলে বহু রোগ-ব্যাধি দূরে রাখা সম্ভব। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম জাতীয় উপাদান। অনেকেই ডিমে প্রচুর কোলেস্টেরল আছে মনে করে ডিম খেতে অবহেলা করে থাকেন। আসুন আজ জেনে নিই ডিমের অসাধারণ কিছু কার্যকারিতা সম্পর্কে:
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ডিমে কোলেস্টেরল আছে, তাই ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়বে – এটি একটি প্রচলিত ভুল ধারনা। ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে না বরং কমে। নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা বাড়ায়: ডিমের আরো কিছু উপকারী উপাদান হলো লুথিন, জিয়েক্সসেনথিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা দৃষ্টিশক্তির ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি চোখের ছানি পড়াও রোধ করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিম খেলে ওজন কমে না বরং এটি ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় ডিম খেলে ক্ষিদে কম অনুভূত হয় যা ওজন কমানোর সহায়ক।
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: ডিমে থাকা পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি ডিম খেয়েই দেখুন না আপনার মেধাশক্তি তো বাড়বেই, সাথে বাড়বে বুদ্ধি ও।
প্রোটিনের চাহিদা মেটায়: নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্র্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। যা দেহকে কর্মক্ষম করে সচল রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন শরীরে যে ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন, তাঁর ১৮৭ মিলিগ্রাম চাহিদা পূরণ করতে পারে একটি ডিমে। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিন নাস্তায় ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন