বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ যত বাড়বে, দেশের সংকট তত বাড়বে।৭ জানুয়ারির কথিত ডামি নির্বাচন সরকারকে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা দেয়নি। সে কারণে এই সরকার যত প্রলম্বিত হবে দেশের বহুমাত্রিক সংকট তত বাড়বে।’
আজ রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংহতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাইফুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে না থাকলে কারা দেশ চালাবে তা দেশের মানুষ নির্ধারণ করবে। একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের সরকার ও নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। ’
তিনি বলেন, ‘৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজপথে বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠেছে। বাস্তবে একটি কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এখানে অন্য কোনো ম্যাজিক নেই।’
প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন তার সরকারের অপরাধটা কী? সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনের বিপজ্জনক রাজনৈতিক দিক উল্লেখ করে সাইফুল হক বলেন, ‘প্রথমত- সরকার পরিবর্তনের নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত- দেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বাস্তবে তারা বিদায় করে দিয়েছেন। তৃতীয়ত- দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ দুর্বল ও ভঙ্গুর করে দিয়ে দেশের অবশিষ্ট বহুত্ববাদী গণতান্ত্রিক কাঠামোকে তারা নষ্ট করে দিয়েছেন। এসব তৎপরতার মধ্য দিয়ে দেশকে গভীর এক অনিশ্চয়তা ও ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহীদুল আলম নান্নু, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, মহানগর সদস্য জোনায়েত হোসেন, বাবর চৌধুরী, নান্টু দাস প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন