সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গ্রেফতার হওয়া বিএনপি’ ১৩ নেতা-কর্মীর কারা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চে রিটটি দায়ের করা হয়। বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রিট ফাইল করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজি প্রিজন্সসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটে গত ৬ মাসে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তপূর্বক দায়ীদের চিহ্নিত করা এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটের বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিগত কয়েক মাসে ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী মারা গেছেন। এসব মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দেশে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন সংযুক্ত কর আমরা রিট ফাইল করেছি। রিটে কারাগারে বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করেছি।
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রূহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, গত তিন মাসে কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৩ জন নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন, দেশের কারাগারগুলো ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা। কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা গেস্টাপোদের ন্যায় মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সব সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালাচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না।
ছাত্রলীগের সাবেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের কারা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শেখ হাসিনা কারাগারেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাতে লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। কারা হেফাজতে নির্মম নির্যাতনের শিকার বিএনপির নেতাকর্মীদের কারও না কারও মৃত্যু সংবাদ আসছে প্রায়ই। গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতন করে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে কারা হেফাজতে। এসব মৃত্যু মূলত: পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন