২০০৮ সালের পর শান্তিপূর্ণ-গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্যই বাংলাদেশ আর্থ সামাজিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। রবিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশে শান্তিপূর্ণ-গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে দেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আমরা আর অশান্তি, সংঘাত চাই না। আমরা সবার উন্নতি চাই।’
আরও পড়ুন>>মার্কিন নতুন ভিসানীতি: রাজনীতিতে নতুন মোড়
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘জাতির পিতার শান্তির নীতি মেনে চলি, মেনে চলতে চাই। বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবন থেকে নির্যাতিত মানুষের পাশে ছিলেন। সেই ১৯৪৩ সালে দুর্ভিক্ষের সময় ছাত্র শেখ মুজিব মানুষের পাশে ছিলেন।’
‘৪৫ সালে দাঙ্গার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সব সময় তিনি শান্তির পথে ছিলেন। শান্তির কথায় তিনি বলে গেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বকে ক্ষুধামুক্ত করতে অস্ত্র প্রতিযোগিতা নয়। মানুষের কল্যাণে অর্থ ব্যয় করতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বের সব সমস্যার করতে হবে।’
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে শান্তি পুরষ্কার প্রবর্তনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন>>প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন বক্তব্য, সেই বিএনপি নেতা আটক
উল্লেখ্য, বিশ্বের শান্তির জন্য সর্বোচ্চ পদক হলো ‘জুলিও কুরি’ পদক। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলিও কুরি পদক প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধু ছাড়া জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির তালিকায় আছেন বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা। তাদের মধ্যে আছেন ভারতের জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রো, চিলির সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের হো চি মিন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলা, চিলির কবি পাবলো নেরুদা, যুক্তরাষ্ট্রের মার্টিন লুথার কিং।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন