বিএনপির বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমরা চিৎকার করলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায় আবার নিরব থাকলেও ভয় পায়।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে দুপুর ১টা থেকেই নেতাকর্মীরা কমলাপুর এলাকায় এসে জড়ো হতে থাকেন। কমলাপুর স্টেডিয়ামের সামনে থেকে শুরু হয়ে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজারের সামনে গিয়ে এই পদযাত্রা শেষ হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা বলিনি মন্ত্রীত্ব দেন, বিএনপির জন্য গদি ছেড়ে দেন। জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলছি। আমাদের পদযাত্রা জনগণের দাবি নিয়ে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যদি চিৎকার করি আওয়ামী লীগ ভয় পায়। নিরব থাকলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। বিএনপির পদযাত্রায় আজকে যে রাস্তা প্রকম্পিত হচ্ছে, সে কারণে তারা ভয় পেয়েছে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। বিদ্যুৎমন্ত্রী বললেন মাসে-মাসে সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যেন এটা কারো একটা রাজত্ব। রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হুকুম মতো দেশ চলবে, কারও রাজতন্ত্রে নয়। তবে এখন তো কোনো সরকার নেই। একটা অবৈধ দানব আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে। এই দানবকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ আজ মাইকিং করে ভোটারদের কেন্দ্রে ডাকছে। কেন্দ্রে ভোটার নেই, কুকুর দেখা যাচ্ছে। কারণ, জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচন বয়কট করেছে।
আব্বাস বলেন, এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের পতন যাত্রা। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষায়। আজকে আমি মুগদা থেকে হেঁটে আসলাম। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতির কারণে সুঁই ফেলারও যায়গা নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দেশের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু তারা প্রয়োজনে এমন শক্ত হয় তখন তাদের মতো আর কেউ নেই। এই সরকারকে এখন মানুষ বিশ্বাস করে না। হাসিনা সরকার আগে বলেছে ঘরে ঘরে চাকরি, এখন দিচ্ছেন উপদেশ। ব্যবসা করেন।
পদযাত্রা কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায় আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, মীর সরাফত আলী সপু, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ডা. রফিকুল ইসলাম, নবী উল্লাহ নবী, কাজী আবুল বাশার, লিটন মাহমুদ, রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
এর আগে গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) গাবতলি থেকে শুরু হয়ে মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্ত্বর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন