বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলঙ্ক এক-এগারোর ঘটনা। এক–এগারোর পর সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আরাফাত রহমান (কোকো) মারা গেছেন। তিনি একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ যে জায়গায় এসেছে, তার প্রধান নায়ক ছিলেন আরাফাত রহমান।
আজ মঙ্গলবার সকালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর বনানীতে তাঁর কবরের পাশে সুরা ফাতেহা পাঠ করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আরাফাত রহমান একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়েও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। আমরা দেখেছি, করুণ অবস্থায় তাঁকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাঁকে চলে যেতে হয়েছে।’
২০০৭ সালের এক–এগারোকে ‘এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ঘটনা’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এক–এগারোর ঘটনার পরে আরাফাত রহমানকে মিথ্যা মামলায়, মিথ্যা অজুহাতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে নির্বাসিত করা হয়। তিনি একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। তিনি নিজে খেলাধুলা করতেন এবং খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত থাকতেন।’
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, তাবিথ আউয়াল, মহানগর দক্ষিণের নবী উল্লাহ, যুবদলের মামুন হাসান, আবদুল মোনায়েমসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এক–এগারোর সেনা–সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ড ও পরে মালয়েশিয়ায় যান। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সে দেশের রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারা যান তিনি। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এবং বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন