আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের শত্রু। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, এদের কোন বৈধতা নাই, এরা ডাকাতের সরকার। তাদের এক মন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতের সাহায্য চেয়েছে। আমরা এর ব্যখ্যা চাই। তাহলে কি ভারতকে দিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার দাঁড়িয়ে আছে? বলে প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, দূর্নীতি ও অর্থপাচারের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতি পঙ্গু করেছে, তারা লুটতরাজ করে জনগণের পেটে আঘাত করেছে। এই সরকার জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে ৫১ শতাংশ। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমছে অথচ তারা দাম কমাচ্ছে না। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। তেল থেকে সরকার ৩৫ শতাংশ কর আদায় করছে। এই টাকা দিয়েও সরকার তেলের দাম সহনীয় করতে পারতো। বরং তারা দেশের গ্যাস উৎপাদন না করে এলএনজি আমদানী করছে। আমদানীর নামে বিভিন্নভাবে টাকা পাচার করছে।
তিনি বলেন, দেশে এখনও শতকরা ৪২ শতাংশ দরিদ্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন বলে চিৎকার করছে। কোথায় উন্নয়ন। মানুষ আজ দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেতে পারছে না। গ্রামের মানুষের অবস্থা বেশি করুণ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনার বলছেন খুব দক্ষতার সহিত দেশ চালাচ্ছেন। এত দক্ষ করে দেশ চালালে কিভাবে ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে পড়ে একই পরিবারের ৫ জন মারা গেল? এই ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের গ্রেফতার না করে কেন কর্মচারীদের গ্রেফতার করা হল। এর জবাব আপনি দিতে হবে।
তিনি বলেন, আজ কোথাও আইনের শাসন নাই। সবখানে শুধু দূর্নীতি আর লুটপাটে ব্যস্ত সরকার। অর্থনীতি, রাজনীতি, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের দূর্নীতিতে যাদের নাম এসেছে সেখান থেকেও আপনারা মন্ত্রী বানিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তারা আজ আমাদের ৩৫ লাখ নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিদেশে রাখা হয়েছে। ক্ষমতা ছেড়ে রাস্তায় আসুন, বোঝা যাবে আপনাদের শক্তি কত।
তিনি আরও বলেন, গুমের কথা বলাতে আপনাদের মাথা গরম হয়েছে। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও লাকসামের পারভেজসহ যত গুম হয়েছে সব গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার। আমরা গুম হওয়া মানুষদের খোঁজ চাই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, আর কোন সময় নয়। জনগণের ঐক্য গড়ে তোলে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথ দখল করে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। তাদের বাধ্য করবো পদত্যাগ করে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন