জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, তারা সব সময় অবাধ-স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চান। কারণ, নির্বাচনই গণতন্ত্রের প্রবেশদ্বার। নির্বাচন সঠিক হলেই দেশে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হবে। জনগণের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা বাড়বে। সুশাসনের পরিবেশ তৈরি হবে। সাধারণ মানুষ তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারলে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ পাওয়ার পথচলা শুরু হবে।
তবে, সংবিধানের কিছু ধারা একটির সঙ্গে অন্যটি সাংঘর্ষিক। বিরোধী দল হিসেবে জাপা দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে দাবি তুলে ধরেছে। মানা না মানা সরকারের ব্যাপার। সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদের তিন ধারার কারণে রাষ্ট্রপতিকে মাত্র দুইটি নিয়োগ বাদে সব নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়। তাই, নির্বাচন কমিশন গঠনে নিরপেক্ষতা নিয়ে তাদের সংশয় রয়েছে, বলেন জি এম কাদের।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বিরোধী দলের কাজ হচ্ছে সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে সরকারকে পরামর্শ দেওয়া। সংবিধান অনুযায়ী বিরোধী দলের এর বাইরে কিছুই করার নেই। বর্তমান সংবিধান এক ব্যক্তিকে ক্ষমতা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তাই হবে, যেটুকু বলবেন তার বাইরে সংসদে কিছুই পাস হবে না। তাই, জাপা সরকারের সমালোচনা ও গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে বিরাধী দলের দায়িত্ব পালন করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধান অনুসারে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা ঠিক করবে, এমন কথা তারা সংসদে বলেছিলেন।
তারা আরও বলেছিলেন, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করা নির্বাহীর কর্মপরিধির লঙ্ঘন হবে, জানান জি এম কাদের।
বর্তমান যে আইনটি পাস হয়েছে তাতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের যথাযথ ক্ষমতার বিষয়টি বিদ্যমান আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার, সার্চ কমিটির কথা বলা হয়েছে। সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রুপরেখা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কমিটির কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়নি, বলেন জাপা চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে মনোনীত ব্যক্তিদের নাম ও পরিচয় সম্বলিত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রকাশ করার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তাছাড়া, মাত্র ১৫ (পনের) কর্মদিবসের মধ্যে নাম প্রস্তাব করার বিধানটি বেশি তাড়াহুড়ো। যা জনমনে সংশয় সৃষ্টি করবে।
সারাবাংলা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন