তৃতীয় দফায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার ১০ টি ও আটোয়ারী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বেশিরভাগ প্রার্থীরা তাদের বিদ্রোহী ও জামায়াত-বিএনপি প্রার্থীদের কাছে পরাজিত হয়েছে। কোন কোন ইউনিয়নে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে আওয়ামীলীগের প্রার্থীদের। ১৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬ টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা। তিনটিতে তাদের বিদ্রোহী, জামায়াত ২ টি, বিএনপি ১ টি, জাতীয় পার্টি ১ টি, স্বতন্ত্র ১ টি ও জাসদের প্রার্থী ১ টি ইউনিয়নের জয় পেয়েছে।
গতকাল রবিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ১৫ টি ইউনিয়নে ১৩৬ টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট ভোটগ্রহণ শেষে গণনার রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আল ইমরান খান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬২৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের আরেক বিদ্রোহী সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৮৩১ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন মাত্র ৯৪৩ ভোট।
সাতমেরা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রবিউল ইসলাম রবি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৩৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৬৯১৯ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ফজলুল হক পেয়েছেন ২৮৩৮ ভোট।
হাড়িভাসা ইউনিয়নে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইয়েদ নূর-ই-আলম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৯৪৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনির হোসেন পেয়েছেন ৪৪৩৬ ভোট।
কামাতকাজলদিঘী ইউনিয়নে জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৩৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৩৫৮ ভোট।
হাফিজাবাদ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইসমাইল হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫১৮৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাদত হোসেন পেয়েছেন ৩৭৬৭ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী গোলাম মুসা কলিমুল্লাহ পেয়েছেন ৩২৭১ ভোট।
ধাক্কামারা ইউনিয়নে জাসদের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম দুলাল নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩৯৫৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৪৬৫ ভোট।
চাকলাহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৩৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজির হোসেন পেয়েছেন ২৯০৫ ভোট। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক পেয়েছেন ২৩৯৩ ভোট।
গড়িনাবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মনোয়ার হোসেন দিপু নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সুবেন শর্মা পেয়েছেন ৪০৪০ ভোট।
অমরখানা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী নুরুজ্জামান নুরু নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৫৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী মবিন উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৪৬৪৮ ভোট।
মাগুরা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জ্যোতিষ চন্দ্র রায় নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫০৩৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ প্রধান পেয়েছেন ৩৭২৫ ভোট।
আটোয়ারী উপজেলায় রাধানগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবু জাহেদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন
৭৩০৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রশিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৭১০৩ ভোট।
ধামোর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী আবু তাহের নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৯২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ৫৪২৩ ভোট।
আলোয়াখোয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মোজাক্কারুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৪০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৬৫১ ভোট।
তোড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ শাহ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭৪৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী ফজলুল করিম পেয়েছেন ৩৯০৬ ভোট।
মির্জাপুর ইউনিয়নে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুস সামাদ আজাদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৯৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের প্রার্থী ওমর আলী পেয়েছেন ৪৮৯৬ ভোট।
১৫ টি ইউনিয়নে ভোট পড়েছে প্রায় ৮৫ শতাংশ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন