প্রশাসনিক বাধার কারণে উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। তারা মানুষের ভাগ্যোন্নয়ণে কাজ করতে পারছেন না। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যেভাবে উপজেলা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করেছিলেন, এখন আর সেভাবে চলছে না উপজেলা পরিষদ।
উপজেলা দিবস উপলক্ষে শনিবার বিকালে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেছন পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
জিএম কাদের গণমানুষের আস্থা নিয়ে জাতীয় পার্টি পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের পূর্ণাঙ্গ উপজেলা পরিষদ বাস্তবায়ন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। তিনি উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি করে মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সরকারি সব সেবা মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণার পাশাপাশি সব ধর্মের সব অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, জেলা থেকে রাজধানী পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, শহরের সব সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়তে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওষুধনীতি করেছিলেন। এতে ওষুধ শিল্প বিকশিত হয়েছে, দেশের মানুষ স্বল্পমূল্যে ওষুধ কিনতে পারছেন। পল্লীবন্ধু স্বাস্থ্যনীতি করতে চেয়েছিলেন, সে সময় যারা স্বাস্থ্যনীতির বিরোধিতা করেছিলেন, এখন তারাই বলছেন এরশাদের স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়িত হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নত হতো। কর্মমুখী শিক্ষানীতি করতে চেয়েছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বিচারবিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ, প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন এবং আনুপাতিক হারে ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠনের যে স্বপ্ন পল্লীবন্ধু দেখেছিলেন আমরা তা বাস্তবায়ন করব।
মানুষের প্রত্যাশা পূরণে পল্লীবন্ধুর রেখে যাওয়া কাজগুলো জাতীয় পার্টি বাস্তবায়ন করবে বলেও উল্লেখ করেন জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, যারা উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত করেছিলেন তারাই এখন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করতে মরিয়া। তিনি বলেন, দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকেই চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টি দেশ পরিচালনা করবে।
উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সুনীল শুভরায়, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, ভাইস চেয়ারম্যান এইচএম শাহরিয়ার আসিফ, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয় তরুণ পার্টির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন মৃধা, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো. ইব্রাহিম খান জুয়েল।
উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার মিয়া, সৈয়দ দীদার বখত, নাজমা আক্তার এমপি, অনুষ্ঠানে সঞ্চলনা করেন যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মিসেস শেরীফা কাদের, সেলিম উদ্দিন, ড. নূরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি, আতাউর রহমান আতা, হারুন আর রশিদ, মাহজাবিন মোরশেদ, অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, হেনা খান পন্নী, অ্যাডভোকেট লাকি বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল হোসেন, অধ্যাপক ড. গোলাম মোস্তফা, নাজনীন সুলতানা, অ্যাডভোকেট জহিরুল হক জহির, লে. কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আবদুস সালাম, আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, মিসেস সালমা হোসেন, শেখ আলমগীর হোসেন, শফিউল্লাহ শফি, তারেক এ আদেল, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাহিদা রহমান রিংকু, মো. শামসুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী, ফখরুল আহসান সাহজাদা, মো বেলাল হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল দাস, নাসির উদ্দিন সরকার, মো. এনাম জয়নাল আবেদীন, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. হুমায়ুন খান, সৈয়দ ইফতেখার আহসান হাসান, আনোয়ার হোসেন তোতা, মাখন সরকার, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলা প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন