নোয়াখালী আওয়ামী লীগ নিয়ে একটা চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী। ৭ মার্চকে সামনে রেখে সোনাপুর কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় দলীয় নেতাকর্মীদের অংশ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন। আজ শনিবার বিকেল ৩টা ২৬ মিনিটে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে ১মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের একটি লাইভ দেন তিনি।
এসময় এমপি একরাম বলেন, ‘আমরা বুঝিয়ে দিতে চাই, আমরা নোয়াখালী আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নাই। কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য আওয়ামী লীগ না, কোনো ব্যক্তি বিশেষ লাইভে এসে কিছু বললেই আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা সে আওয়ামী লীগ না। নোয়াখালী আওয়ামী লীগ ভেরি স্ট্রং আওয়ামী লীগ।’
জানা গেছে, ৭ মার্চকে কেন্দ্র করে রোববার নোয়াখালী জেলা শহরে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় জেলা শহর মাইজদীর বালুর মাঠে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান। অপরদিকে দুপুর ৩টায় সোনাপুর কলেজ মাঠে জনসভার ডাক দিয়েছেন নোয়াখালী-৪ সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী সমর্থিত শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু।
অপরদিকে, ৭ মার্চ রোববার সকালে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার জিরো পয়েন্টে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন, বিকেলে আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। এতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা ব্যাপক জনসমাগম ঘটাবে বলে জানা গেছে। একইদিন বঙ্গবন্ধু চত্বরের মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে হাসপাতাল সড়কে বীর উত্তম নুরুল হক মিলনায়তনে (ডাক বাংলো) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
একইদিন ৭ মার্চ উপলক্ষে বিবদমান উভয় পক্ষের কাছাকাছি স্থানে পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি আয়োজনের কারণে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এনিয়ে স্থানীয় ব্যাবসায়ী সমাজ ও সাধারণ মানুষের মাঝেও নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, ‘উভয় পক্ষের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচির বিষয়টি জেনেছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন স্বাভাবিক থাকে সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন। যার শুরু হয়েছিল নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। এরপর শুরু হয় পাল্টাপাল্টি মন্তব্য। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে পড়ে পুরো নোয়াখালী।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন