গণতন্ত্রে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। সেই সমালোচনা সহ্য করার মত একটা বৃহৎ মন থাকতে হবে। সেই বৃহৎ মন তারেক রহমান সাহেবের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম' নামের দুটি সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৫তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষেআয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় তখন তারেক রহমান দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তার বিরুদ্ধে কার্টুন আঁকা হয়েছে। আজকে কার্টুন আকার অপরাধে কারাগারে মোশতাকের মৃত্যু হল তার প্রতিবাদে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন প্রতিবাদ করছে। বিএনপি বলছে প্রতিবাদ করতে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রে সমালোচনা সহ্য করতে হবে। সেই সমালোচনা সহ্য করার মত একটা বৃহৎ মন থাকতে হবে। সেই বৃহৎ মন তারেক রহমান সাহেবের রয়েছে। তারেক রহমান সাহেবের যারা কার্টুন এঁকেছে তাদের তিনি বলেননি একটি ফুলের টোকাও দিতে। তাই আমি বলবো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তারেক রহমানের মধ্যে বিশাল বড় পার্থক্য। তাহলে কেন আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবো না। তারেক রহমান কেন দেশনায়ক নয়? তিনিই দেশনায়ক, গণতন্ত্রের প্রতীক। তারেক রহমান নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছেন। জাতীয়তাবাদী শক্তির ধারাবাহিক রাজনীতির প্রতীক। আর বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনিতো চ্যাম্পিয়ন। তিনি বাকশালের অন্ধকার গুহা ও স্বৈরাচার অন্ধকার গুহা থেকে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বিএনপির যে ঐতিহ্য, বিএনপির যে পতাকা সেটা গণতন্ত্রের পতাকা, সার্বভৌমত্বের পতাকা। এই পতাকার ছায়া তলে থেকেই আজকে কয়েকদিন আগে খোকনের উপর লাঠিচার্জ হয়েছে। ছাত্রদলের মামুন খান যাকে আমি দেখতে গিয়েছি, তার নাকের হাড় ভেঙে ভিতরে ঢুকে গেছে। যেদিন তার ব্যান্ডেজ খুলেছে ব্যান্ডেজ খোলার সাথে সাথে নাক দিয়ে এমনভাবে রক্ত বের হচ্ছে মনে হচ্ছে দুধ বের হচ্ছে। পরে তার আবার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হয়েছে। এত নিষ্ঠুরতা, এত পৈশাচিকতা এই সরকারের পুলিশ করেছেন। এ সকল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পারেন না। তিনি বলেন, পুলিশ হেফাজতে একজন প্রতিবাদকারীকে মেরে ফেলতে হবে, একজন লেখককে মেরে ফেলতে হবে? এটার জন্য যদি না দাঁড়ানো হয় এই রাষ্ট্র একটি ভীতির রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন,'ওয়ান ইলেভেন থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার জন্য সরকার টার্গেট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।তাদের প্রথম টার্গেট ছিল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করা, এবং গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের মূর্তপথিক তারেক রহমানকে শুধু বন্দি করাই হয়েছিল না তার উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল সে কারনে আজও তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। তার পরেও তিনি তারেক রহমান থেমে থাকেনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তিনি এখনো অবিচলভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কারা হেফাজতে লেখক ব্লগার মোস্তাক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি আগেই বলেছি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করতে হবে,গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে এগুলো সরকারের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ।মোস্তাককে কারা হেফাজতে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।কার্টনিস্ট কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে কিন্তু আইনমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী কি বললেন এগুলো কিছুই করা হয়নি অথচ আমরা গতকালকে পত্র-পত্রিকায় দেখতে পেলাম কি অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মীর হেলাল এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন