বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৮৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতির এক ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান ঐতিহাসিক যুগান্তকারী দায়িত্ব পালন করেন। দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য নেতৃত্বহীন জাতির দিশারী হয়ে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং তিনি যুদ্ধে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেন। তিনি হন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
স্বাধীনতাত্তোর দুঃসহ স্বৈরাচারী দুঃশাসনে চরম হতাশায় দেশ যখন নিপতিত, জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে যাওয়া যখন বাধাগ্রস্থ ঠিক সেই সংকটের এক পর্যায়ে জিয়াউর রহমান জনগণের নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন।
‘মিথ্যা প্রতিশ্রুতির অপরাজনীতি দ্বারা জনগণকে প্রতারিত করে স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন মহল যখন মানুষের বাক-ব্যক্তি-স্বাধীনতাকে হরণ করে গণতন্ত্রকে মাটিচাপা দিয়েছিল, দেশকে ঠেলে দিয়েছিল দুর্ভীক্ষের করাল গ্রাসে, বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির আন্তর্জাতিক খেতাবপ্রাপ্ত হতে হয়— জাতির এরকম এক চরম দুঃসময়ে ৭ নভেম্বর সৈনিক জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে জিয়া ক্ষমতার হাল ধরেন’ বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই বিচার বিভাগ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। উৎপাদনমুখী রাজনীতি প্রবর্তন করে তিনি দেশকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে কৃষি বিপ্লব, গণশিক্ষা বিপ্লব ও শিল্প বিপ্লব, সেচ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রম ও সরকারি সহায়তার সমন্বয় ঘটিয়ে ১ হাজার ৪০০ খাল খনন ও পুনঃখনন করেন। গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করে অতি অল্প সময়ে ৪০ লাখ মানুষকে অক্ষর জ্ঞান দান করেন।
‘এছাড়া গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন করে গ্রামাঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা করেন। পল্লী চিকিৎসক ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন, ফলে তার আমলে ২৭ হাজার ৫০০ পল্লী চিকিৎসক নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং তাতে গ্রামীণ জনগণের চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধি হয়’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন