নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ডাকুসু'র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন যুব অধিকার পরিষদ। সমাবেশের শুরু থেকে শতাধিক পুলিশ মোতায়ন ছিলো। যেখানে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা শতকের কাছাকাছি। সমাবেশ শেষে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে, পুলিশের জেরার মুখে দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন তারা।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুলহক নুর, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মুনতাসির রহমান, যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আবদুর রহমান খান বক্তব্য প্রদান করেন।
নুরুল হক নুর পুলিশ উপস্থিতির সমালোচনা করে বলেন, আজকে আমরা কোন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক প্রোগ্রাম করতে আসিনি। আজকে আমরা এসেছি দেশের দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ে কথা বলতে। কিন্তু এখানে এত পুলিশের ভীড় কেন।
পুলিশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো পুলিশ তখন সাহারা খাতুন কে পিঠিয়ে কাপড় খুলে পেলেছিলেন। এখন তারা মির্জা ফখরুলদের মতো মানুষকে পিঠাচ্ছে। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ক্ষমতাসীন দলের গোলামি করা পুলিশের নিয়তী হয়ে গেছে।
এখন যারা টাকা পাচার করছে ওরাই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলাদেশে যখন পেয়াজের ভরা মৌসুম তখন কেন ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিলেন।
দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি স্বাবাভিক প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না দাবি করে নুর বলেন, এখন যারা টাকা পাচার করছে ওরাই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। বাংলাদেশে যখন পেয়াজের ভরা মৌসুম তখন কেন ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি দিলেন। এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যদি সরকার তা করতে ব্যর্থ হয় আমরা সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী দিবো।
সরাকারি আমলাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যারা এখন অতিউৎসাহী হয়ে কাজ করছেন তাদের আমলনামা লিখা হচ্ছে। সময়ে সমুচিত জবাবের জন্য প্রস্তুত থাকেন।
তিনি আরো বলেন, ২৫৩ টি পরিবার বাংলাদেশের কালোবাজরি, সিন্ডিকেট, শেয়ারবাজার লুট করছে। পাকিস্থান আমলে বঙ্গবন্ধু যেমন ২১ পরিবারের বিরোদ্ধে লড়েছে। আমরাও ২৫৩ পরিবারের বিরোদ্ধে লড়ে যাব।
সমাবেশে তারেক রহমান বলেন, "বাংলাদেশের নীতি হলো কৃষক ধ্বংস করার নীতি। এই মূহুর্তে আমাদের বাজার দেশি পেয়াজে ভরপুর। কিন্তু সরকার এখন ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি শুরু করেছে। অথচ যখন দেশি বাজারে পেয়াজ থাকে না তখন ভারতও পেয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেই। এই হলো তাদের কৃষক ধ্বংস করার নীতি।"
শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ চাদাঁবাজি। শ্রমিক নেতাদের বারবার দাবি সত্ত্বেও সরকার চাদাবাজদের দৌরাত্ব বন্ধ করতে পারেনি।
রাশেদ খান বলেন, যারা সরকারী চাকরি করে সরকার তাদের বেতন প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। কিন্তু দেশের সাধারণ জনগনের কথা সরকার চিন্তাও করে না। এই করোনা কালে অনেকে চাকরি হারিয়েছে। এই মুহুর্তে দ্রব্যমূল্যের এই উর্দ্ধগতি তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসছে। সরকারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করতে হবে।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন