সরকারি সুবিধা ও চাপে ফ্যাসিবাদের কব্জায় বন্দি হয়ে পড়েছে হেফাজত। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ধূমকেতুর মত জেগে উঠা অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত। নানামুখী দ্বন্দ্ব এবং ধারা উপ-ধারায় সংগঠনটি এখন বিভক্ত। ২০১৩ সালের ৫ মে বিডিআর, র্যাব ও পুলিশের আক্রমণে নিশিরাতে রক্তাক্ত মতিঝিলের হেফাজত, আর আজকের হেফাজতে ফারাক অনেক। যেই ফ্যাসিস্ট সরকার মতিঝিলকে রক্তাক্ত করেছিল, সেই সরকারের নিকট থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে এবং নানামুখী চাপে অনেকটাই আদর্শচ্যুত হয়ে পড়েছে কওমি ওলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে গঠিত এ সংগঠনটি।
কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক এই সংগঠনটির আমীরের বয়স নব্বইয়ের ঊর্ধ্বে। সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা শাহ আহমদ শফী এখন বয়সের ভারে ঠিকমত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। ফলে তাকে ঘিরে এক ধরনের সুবিধাভোগী চক্র গড়ে উঠেছে। এই সুবিধাভোগী চক্রটি সরকারের প্রলোভনে নতি স্বীকার করে বিভিন্ন ধরনের আপোষ করছেন বলে আলেমদের একটা বড় অংশ মনে করছেন।
সরকারের সঙ্গে আপোষের বিরোধিতা করায় হেফাজতে ইসলামে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন সংগঠনটির সেক্রেটারি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরাও হয়ে পড়েছেন বিভক্ত। এই বিভক্তি এবং কাঁদা ছোড়াছুড়ির স্পর্শ লেগেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ইদানীং ফেইসবুকে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের বিরুদ্ধে নানা প্রচারণায় লিপ্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীসহ বেশিরভাগ আলেম সরকারের চাপে এবং মিথ্যা মামলা, নির্যাতন ও গুমের ভয়ে মুখ খুলছেন না। এমনকি আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর বাড়ির সামনে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। পোশাকে এবং সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি রয়েছে তাঁর বাড়ির সামনে।
উল্লেখ্য, নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি ও ধর্ম অবমাননাকারীদের মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবিতে জেগে উঠেছিল হেফাজতে ইসলাম। ২০১৩ সালের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে সংগঠনটির বিভিন্ন কর্মসূচিতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল এবং ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে দেশব্যাপী গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিল এই সংগঠনকে ঘিরে। তখন দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় আসে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বে গঠিত এ সংগঠনটি। এতে ইমান-আক্বিদার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনে মানুষ নূতন আশার আলো দেখতে শুরু করে।
৫ মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হেফাজতের সমাবেশে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ। এরপর প্রধানমন্ত্রী একদলীয় জাতীয় সংসদে দাড়িয়ে আল্লামা শফিকে তেঁতুল হুজুর অবিহিত করে অশ্লীলভাবে সমালোচনা করেছিলেন। ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে তিনি বলেন, শরীরে লাল রং মেখে শুয়ে ছিলেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতি ঠের পেয়ে লাশ উঠে দৌড় দেয় বলেও তিনি ব্যঙ্গ করেন। অথচ, এই সংগঠনের নেতারাই বিভিন্ন সুবিধার কাছে নতি স্বীকার করে পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে কওমি জননী উপাধিতে ভূষিত করেন।
হেফাজতের সমাবেশে বিডিআর-র্যাব ও পুলিশের ক্র্যাকডাউনের গ্রাফিক ছবি ও ভিডিও ফুটেজে ঢাকার বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের রাস্তায় রাস্তায় রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিলো তখন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সেই সময় অনুসন্ধান চালিয়ে জানিয়েছিল যে, ৬১ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
হেফাজত নেতারা তখন দাবী করেছিলেন, শুধু ৫ মে’র অপারেশনে ২০০ শহীদের অধিক তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। তবে সরকারি হুমকি এবং শহীদদের পরিবারে হামলার আশঙ্কায় প্রকাশ করা হচ্ছে না।
হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছিলেন, অপারেশনে শত শত লোক নিহত হয়েছে।
শাপলা থেকে গণভবন: আঁতাত! নাকি আ’লীগের ফাঁদে ধরা?
২০১৪ সালের ভোটার বিহীন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর হেফাজতকে কব্জায় নেয়ার কৌশল নেয়। আওয়ামী লীগের কৌশলের ফাঁদে ধরা দেয় হেফাজতের একটি অংশ। হেফাজতের ভেতরে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি কৌশলে আওয়ামী লীগের পুতুলে পরিণত হন আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী। তাঁকে ঘিরেই এখন হেফাজতে মূল দ্বন্দ্ব। হঠাৎ করে তাঁর সম্পদ ও দেশে বিদেশে বিনিয়োগ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, হেফাজতকে কব্জায় নিতে প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক ডিজি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মরহুম শামীম মোঃ আফজালকে দায়িত্ব দেয় সরকার। শুরুতে তিনি তেমন পাত্তা পাননি আল্লামা আহমদ শফির কাছে।
পরবর্তীতে আল্লামা আহমদ শফির এক আত্মীয় ও সাবেক এক মন্ত্রীকে আপোষ রফার দায়িত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। হেফাজতকে কব্জায় নিতে সেই মন্ত্রী প্রথম দিকে কিছুটা সফলও হন। এরপরই শুরু হয় হেফাজতকে গণভবনে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া। ২০১৭ সালের ১১ই এপ্রিল হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফিসহ ৩ শতাধিক আলেমকে গণভবনে দাওয়াত দেয়া হয়। দাওয়াতে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার ভাষায় যাকে তেঁতুল হুজুর খেতাব দেয়া হয়েছিল, তাঁর পায়ে সালাম করেন তিনি নিজেই। এরপরই হেফাজত-সরকারের সখ্যতার বিষয়টি জনসম্মুখে স্পষ্ট হয়।
হেফাজত নেতাদের সাথে শেখ হাসিনার এ দেখা-সাক্ষাতের অনুষ্ঠানে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে সরকারি স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজত-সংশ্লিষ্ট অনেক আলেমের দাবী, কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতির বিনিময়ে আওয়ামী লীগের পুতুলে পরিণত হয় হেফাজতে ইসলাম।
কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতির শোকরিয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর। ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এ শোকরিয়া মাহফিলে কওমি মাদ্রাসার বড় একটি অংশ যোগদান থেকে বিরত থাকেন। ওই শোকরিয়া মাহফিলে শেখ হাসিনাকে ‘কওমি জননী’ উপাধিও দেওয়া হয় আল্লামা আহমদ শফির উপস্থিতিতে।
কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতির পাশাপাশি সরকারি উপঢৌকন হিসাবে হাটহাজারী মাদরাসার নামে রেলের ৩০ একর জমি এবং আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীকে নগদ অর্থ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিভিন্ন সময় বিবৃতি দিয়েছে হেফাজত।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে এসব আঁতাতের সাফাই গেয়ে সংগঠনটির এক সময়ের বিপ্লবী নেতা মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, দাওরায়ে হাদিসের মাস্টার্স সমমান স্বীকৃতি দিয়ে সরকার ভালো কাজ করেছে। যেহেতু এতো বড় কাজ হয়েছে – সেহেতু কৃতজ্ঞতার সাথেই মানুষ স্মরণ করবে।
কোন পথে হেফাজত:
সরকারের সাথে আঁতাতের গুঞ্জন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন হেফাজতের একটা বড় অংশ। কিন্তু, সরকারের বিভিন্ন মামলা, দমন-নিপীড়ন ও গুমের ভয়ে তারা অনেকটাই নীরবতা অবলম্বন করছেন। তাদেরই একজন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
জানা যায়, এসব ইস্যুতে আল্লামা আহমেদ শফীর ছেলে ও সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মাওলানা আনাস মাদানীর সঙ্গে মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে আমীর ও মহাসচিব বলতে গেলে আলাদা পথে চলতে শুরু করেন।
আরেক নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী ক্ষুব্ধ হয়ে খোদ আমীর আল্লামা আহমেদ শফীকে বহিষ্কার করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন।
হেফাজতে ইসলামে বিবদমান গ্রুপগুলোর মধ্যে রয়েছে আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানীর নেতৃত্বে একটি বলয়। এ ছাড়া রয়েছে মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর মুফতি ইজহার এবং দলের দুই যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ও মাঈনউদ্দিন রুহীর নেতৃত্বে পৃথক গ্রুপ।
দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে হাটহাজারী মাদরাসার অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে মাওলানা নোমান ফয়জীর বরাতে বলা হয় যে, বাবুনগরী মজলিসে শূরার সদস্যদের কাছে মুঈনে মুহতামিম বা সহযোগী পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের সম্মতি প্রকাশ করায় তাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
যদিও মাদরাসার এই দাবি অস্বীকার করে বাবুনগরী বলেন, এ কথা ভিত্তিহীন। আমি শূরার সদস্যদের নিকট কখনো পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ কিংবা সম্মতি দেইনি।
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে যা বলছেন নেতারা:
ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচন এবং সংগঠনে প্রভাব বিস্তার প্রশ্নে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চলে আসছে অনেক দিন ধরে। একদিকে হেফাজতের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে আল্লামা শফীর ছেলে আনাস মাদানী সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। অন্যদিকে, মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী ও হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়েজিসহ কয়েকজন পৃথক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১৭ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার মজলিসে শূরার বৈঠকে মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা শেখ আহমদকে হেফাজতের নতুন আমীর হিসেবে ঘোষণা দিতে চেয়েছিলেন আল্লামা শফী। কিন্তু শুরা সদস্যরা এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। হেফাজতের আমীর নির্বাচনের সঙ্গে হাটহাজারী মাদরাসার সম্পর্ক নেই জানিয়ে শুরা কমিটির সদস্যরা এই বিষয়ে সাংগঠনিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়ে দেন।
হেফাজত নেতাদের অনেকে মনে করেন, হাটহাজারী দারুল উলুম মাদরাসার নতুন প্রধান পরিচালক যিনি হবেন তিনিই পদাধিকার বলে হেফাজতের আমীর হবেন। কিন্তু মাদরাসার শুরা কমিটির বৈঠকে আহমদ শফীর নতুন আমীর নির্বাচনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হওয়ার পর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, হেফাজতের নতুন আমীর কিভাবে নির্বাচিত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, হাটহাজারী মাদরাসার শুরা কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় হেফাজতের নতুন আমীর নির্বাচন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ হেফাজতের কোন গঠনতন্ত্র নেই। সাংগঠনিক কমিটির সভায় এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গেলে মতবিরোধ হবে।
এ ব্যাপারে হেফাজত আমীরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দিন রুহী বলেন, হেফাজতের কার্যক্রম আগের মতোই রয়েছে। ১৩ দফা দাবির সব পূরণ হয়নি, তাই তা আদায়ে হেফাজতের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
সংগঠনের আমীর ও মহাসচিবের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই বলেও দাবি করেন মাঈনুদ্দিন রুহী।
মহাসচিবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হেফাজতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, আমাদের ১৩ দফা দাবি বহাল রয়েছে। আমীর ও মহাসচিবের মধ্যে দূরত্বের কথা সত্য নয়।
হেফাজত সংশ্লিষ্ট অনেক আলেম অভিযোগ করে বলেন, শফিপুত্র আনাস মাদানী ও তার অনুসারীরা ১৩ দফা নিয়ে এখন আর তেমন সরব নন। তবে বাবুনগরী বরাবরের মতোই সেসব নিয়ে সোচ্চার। এছাড়া তার সরকার-বিরোধী অবস্থানও অতীতের মতোই স্পষ্ট।
ফলে হেফাজত থেকে বাবুনগরী ও তার অনুসারীদের সরিয়ে দিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রচণ্ড চাপ অব্যাহত রয়েছে।
তারা বলেন, সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে এভাবে চলতে থাকলে হেফাজতে ইসলাম অনেক উপদলে বিভক্ত হয়ে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক ও মূল্যহীন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলন এভাবে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে দেশটিতে অসংখ্য নাম সর্বস্ব ইসলামী দলের অস্তিত্ব রয়েছে। হেফাজতও সেই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন