যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যাট সেক্র টারি মাইক পম্পেও ইউএই ও ইসরাইলের মধ্যে ৭২ বছর পর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতী বলে বর্ণনা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমএ মোমেন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে স্টাডি করছি, পরে দেখবো।
তবে ইরান এই সম্পর্ককে বলেছে, মুসলমানদের পিঠে ছুড়িকাঘাত করেছে ইউএই। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগীত হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে তুরস্ক। এরবাইরে অন্যান্য মুসলীম দেশগুলো এই সম্পর্ক বিষয়ে নীরব রয়েছে। বাংলাদেশ ও ইসরাইলের মধ্যে বর্তমানে কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জেরাল্ড কুশনার জানিয়েছেন, ইউএইর পর আরো অনেক মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইসরাইলের সঙ্গে ক’টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী হয়ে উঠবে। তিনি বলেন,এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাহরাইন, ওমান ও সৌদিআরব। এরবাইরে সুদানও খুবদ্রুত ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।
কুশনারের এই বক্তব্যের পরেই বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসরাইরের সঙ্গে ইউএইর সম্পর্ককে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার অন্যতম ধাপ বলে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে ১৯৭৯ সালে মিশর প্রথম ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ১৯৯৪ সালের জর্ডানের সঙ্গে ইসরাইলের ক’টনৈতিক সম্পর্ক হয়।
পাকিস্তানের ডন পত্রিকা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারাও মনে করছে এই চুক্তির ফলে ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ইস্যুতে পজেটিভ হতে বাধ্য হবে। তবে পাকিস্তান সরকার এ নিয়ে কোন মন্তব্য এখনো দেয়নি।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন