ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে সরকার বিরোধী মতকে দমন করা হচ্ছে দাবি করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবার ও সরকার দলীয় নেতাদের সমালোচনা হলে তাদের আটক করা হচ্ছে। অথচ সরকার বিরোধী কারও সমালোচনা হলে এই আইনের প্রয়োগ হয় না।
সোমবার বিকেলে বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, মাঝেমধ্যে অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই ধরনের সংবাদ প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ হয় না। এমনকি কোনো বিচারক স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
তিনি বলেন, ইতিপূর্বে সরকার বিরোধী মত ও লেখা প্রকাশের জন্য দৈনিক মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর সম্পাদকসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মাহমুদুর রহমানকে চার বছর জেল খাটতে হয়েছে। গণমাধ্যমে কর্মরতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা হয়েছে। তাদের কাউকে কাউকে জেল খাটতে হয়েছে। কেউ কেউ এখনও জেলে আছেন। ’৭২-’৭৫ সালেও এমনটি হয়েছিল। চারটি পত্রিকা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হলেও এখন ভিন্ন কৌশলে বাকশাল কায়েম করা হয়েছে।
ফারজানা শারমিন পুতুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন