ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার প্রশংসা করেছে বিএনপি। পাশাপাশি পাকিস্তানে প্লেন দুর্ঘটনায় হতাহতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দলটি।
শনিবার (২৩ মে) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল পাকিস্তানের করাচি সংলগ্ন এলাকায় পিআইএ’র বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৯৯ জন আরোহীর মধ্যে ৯৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা এবং বাংলাদেশসহ ভারতের সবচেয়ে বিপর্যস্ত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, চব্বিশ পরগণা ও দক্ষিণবঙ্গ এবং অন্যান্য রাজ্যে সুপার সাইক্লোন আম্ফানের তাণ্ডবে অনেক মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে বিএনপি।
“পাকিস্তানের বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রী ও ক্রুসহ ৯৭ জনের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনাদায়ক। করোনাভাইরাসের অভিঘাতের মধ্যে এই দুর্ঘটনা পাকিস্তানের জনগণের জন্য মর্মস্পর্শী। হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনায় শোক জানানোর ভাষা জানা নেই।”
নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী যাত্রী ও ক্রুদের আত্মার মাগফিরাত এবং যে দু’জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয় বিএনপির বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সুপার সাইক্লোন আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাড়িঘর, নদীর বাঁধ ভেঙে ফসলের ক্ষেত ভেসে যাওয়া, এলাকার পর এলাকা ধ্বংস হয়ে যাওয়া এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াই নয়, এই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশসহ ভারতের অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, চব্বিশ পরগণাসহ দক্ষিণবঙ্গে প্রলয়ঙ্করী এই ঘূর্ণিঝড় সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্যান্য রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ অতিদ্রুত তাদের এই বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন এবং সেসব এলাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অতিদ্রুত ফিরে আসবে বলে আশা করি। এক্ষেত্রে ভারতের কেন্দ্রীয় ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘূর্ণিঝড়কবলিত পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলসহ অন্যান্য রাজ্যে মানুষের পুনর্বাসনে যে উদ্যোগ নিয়ে তা প্রশংসনীয়।
ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের আত্মার শান্তি এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতা কামনা করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন