আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, “জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই দিবসের প্রাক্কালে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের আপোষহীন নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দিত্ব থেকে ২ বছর ১ মাস ১৬ দিন পর মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসী স্বস্তি অনুভব করছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে পুরোপুরি সুস্থতা এবং দীর্ঘ জীবন দান করুন এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।”
“এই ঐতিহাসিক দিনে খুলনা মহানগর বিএনপি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক মুক্তিযুদ্ধে অপরিসীম সাহসিকতার সাথে নেতৃত্ব প্রদানকারী সেক্টর কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং যুদ্ধে অবদান রাখা সকল বীর সন্তানদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা, তাদের আত্মদান এবং জীবনবাজি রেখে দেশমাতৃকার জন্য অবদানকে আমরা সর্বোচ্চ মর্যাদার স্থানে রাখতে বদ্ধপরিকর।”
মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রতিবছরের ন্যায় যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসবের সাথে এবছর এই মহান দিবসটি উদযাপন করতে না পারায় দেশবাসী স্বাভাবিকভাবেই মনোবেদনার মধ্যে আছেন। জাতির এই চরম সংকটকালে সকল ব্যক্তি, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা সব সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সকলকে সচেতনভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংকট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখার আহবান জানানো হয় খুলনা মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যেই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ও সময়পোযোগী ভূমিকা রাখতে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহবান জানিয়েছে দলটি।
“আমরা আজকের এইদিনে উল্লেখ করতে চাই গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদার মত যে সকল মূল্যবোধ ও স্বপ্ন নিয়ে লক্ষ শহীদের প্রাণ ও মায়ের ইজ্জতের বিনিময়ে এই স্বাধীন মাতৃভূমি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম ক্ষমতাসীনদের অবিমৃশ্যকারিতা আর চরম স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে তা আজ সুদূর পরাহত। গণতন্ত্রের লেশমাত্র সরকারি দল অবশিষ্ট রাখেনি, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করেছে এরা। যে দেশের মানুষ ভোটকে উৎসব মনে করেছে সেই মানুষ আজ ভোটবিমুখ। আইন আদালত বিচার ব্যবস্থা এখন সম্পূর্ণ ব্যক্তিবিশেষের কুক্ষিগত, মানবিকাধিকার ভুলন্ঠিত। ক্ষমতাসীনদের আর বিরোধীপক্ষের জন্য আইনের চোখ এখন ভিন্ন। লক্ষ কোটি টাকা পাচারের স্বর্গরাজ্য এখন প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। সরকার ঋণের ভারে জর্জরিত। লিটপাটে খোবলা অর্থনীতি। পররাষ্ট্রনীতিতে অন্যের মুখাপেক্ষীতা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার তাদের পূর্বসূরী স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের মত দেশকে অন্যের তাবেদারীতে সোপর্দ করেছে। দু:খের সাথে বলতে হয় এর দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থতি দেখার জন্য লক্ষ শহীদ রক্ত ও জীবন বিসর্জন দেয়নি।”
আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তলাবিহীন অপবাদে অপদস্থ রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে সাবলম্বী করার যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং তার ধারাবাহিকতায় তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে যে স্মরণীয় অবদান রেখেছেন তা দেশের মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। রাষ্ট্র গঠনে আমরা আমাদের নেতাদের এই অসামান্য কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের মধ্যেই স্বপ্ন দেখি আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের। আমাদের আগামীদিনের নেতৃত্ব দিবেন শহীদ জিয়া ও দেশনেত্রীর সুযোগ্য উত্তরাধিকার তারেক রহমান।দেশে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা এবং স্বাধীনতা-স্বারভৌমত্ব সুরক্ষা ও অর্থনৈতিক মুক্তি স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। নিশ্চয়ই পরম করুণাময় আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের মত মহাদুর্যোগের হাত হতে পরিত্রাণ পেতেও আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর সাহায্য কামনা করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউলাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন