চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের প্রার্থিতা অনেক দিন ধরেই প্রায় নিশ্চিত ছিল। তাকে ধানের শীষ প্রতীক দিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবুজ সংকেত দিয়েছেন- এমন খবর কয়েক মাস ধরেই চাউর ছিল। কিন্তু মনোনয়নের সময়ে এসে দলে নতুন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সমর্থন থাকায় ডা. শাহাদাত মেয়রপদে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিয়েছেন। গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর হঠাৎ দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বলছেন, ডা. শাহাদাত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৯ আসনে দলের প্রার্থী ছিলেন। তিনি বিএনপির মহানগর সভাপতিও। সবকিছুই যদি তাকে দেওয়া হয় তা হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে। যদিও এক নেতার এক পদ নীতি মেনে শাহাদাত হোসেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) পদ ছেড়ে মহানগর সভাপতি পদ বেছে নেন। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বিএনপিতে কে হচ্ছেন দলীয় মেয়রপ্রার্থী, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে লড়তে ডা. শাহাদাত ছাড়াও মহানগরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ,
মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহসভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান ও আজম উদ্দীন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ডা. লুসি খান দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগামী রবিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতৃত্বাধীন স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষে মেয়রপ্রার্থী চূড়ান্ত করবে।
চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা আমাদের সময়কে বলেন, নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন কোনো আগ্রহ নেই। এ অবস্থায় ছয়জন দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও ডা. শাহাদাতকেই মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ চট্টগ্রামে নেতাকর্মীদের মধ্যে তার অবস্থানই ভালো। তবে কোনো কারণে তাকে দেওয়া না হলে এরশাদ উল্লাহ ও আবুল হাশেম বক্করের মধ্যে যে কোনো একজনকে বেছে নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আসলে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড সাক্ষাৎকার নিলেও তারেক রহমান যাকে চাইবেন তিনিই প্রার্থী হবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন