ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের বরাত দিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘মারামারি বলতে যেটা বোঝায়, সেটা নয়। একটা ধাক্কাধাক্কি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে’।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর (ফাইল ছবি)
ইসি সচিব বলেন, ‘পুলিশের রিপোর্টে দেখলাম, মারামারি বলতে যেটা বোঝায়, সেটা নয়। দুই গ্রুপই পুলিশকে না জানিয়ে মিছিল নিয়ে দুই দিক থেকে আসে। তারা এক মোহনায় মিলিত হয়েছে। তখন একটা ধাক্কাধাক্কি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ বলেছে যে, ‘আমাদের যদি আগে জানানো হতো, তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।’
উল্লেখ্য, রোববার দুপুরে রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কিছু সময় পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
...................................................................................
ইশরাকের প্রচারে হামলায় সাংবাদিক রক্তাক্ত
.................................................................................
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের প্রচারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইশরাকের কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পরে দুই পক্ষ একে অপরের দিকে ইটের টুকরা নিক্ষেপ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। হামলার মধ্যে গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা গেছে। আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষের মধ্যে নয়াদিগন্তের প্রতিবেদক তৌহিদ ইকবাল মজুমদার ও সময় টেলিভিশনের ভিডিওগ্রাফারসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর টিকাটুলি মোড় থেকে ইশরাক হোসেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের গলিতে প্রবেশের সময় কলেজের মূল ফটকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা বলছেন, ইশরাকের মিছিল থেকে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থকেরা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করে হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন রাজধানীর মতিঝিল ও টিকাটুলীতে নির্বাচনী প্রচার শেষে গোপীবাগের বাসায় ফিরছিলেন। ইশরাকের মিছিল যখন ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখন আওয়ামী লীগ সমর্থিক কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যাডমিনটন মার্কার রোকন উদ্দিন আহমেদ এবং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর পদের প্রার্থী লাভলী চৌধুরীর কর্মীরা উপস্থিত হন ওই মোড়ে। দুই পক্ষই শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান দিতে থাকে। এ সময়ে হ্যান্ড মাইকেও ধানের শীষ ও নৌকা প্রতীকের স্লোগান দিতে থাকেন কর্মীরা। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। দুই পক্ষের কর্মীরা এ সময় রাস্তার পাশে থাকা চেয়ারও ছুড়ে মারেন। এর মধ্যে অন্তত ১০টি গুলির শব্দও শোনা গেছে। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে শুরু হয়ে ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ঢিল ছোড়াছুড়ি চলে। কয়েকটি গাড়ি এ সময় ভাঙচুরের শিকার হয়। গোপীবাগে ইশরাকের বাসার মোড়ে পুলিশ দ্রুত অবস্থান নেওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ইশরাকের কর্মী রকী, বিল্লাহ হোসেন, নাহিদ ইকবাল ফয়সাল, আরমান, মিজানুর রহমানসহ ১৪/১৫ জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সময় টেলিভিশনের চিত্র সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম এ ঘটনায় আহত হয়েছেন।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন