সিটি নির্বাচনে সমস্ত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বিএনপিসহ-বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করলে ক্ষমতাসীনদলের দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেছেন,'সিটি নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচন শুধু নির্বাচন নয়, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনা, এটা শুধু নির্বাচনী নয় এটা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন।’
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার ৭২,৭৩ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিয়ার ইশরাক হোসেন এবং কাউন্সিলর প্রার্থী এস এম সোহরাওয়ার্দী ও আব্দুল হান্নান সরকারের পক্ষে গণসংযোগ শেষে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন,'যে সরকার মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, উন্নয়নের নামে মানুষের কাছ থেকে লুটপাট করে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, গণতন্ত্র কেড়ে নেয়, সেই সরকারের মনোনীত প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন কারণ বিএনপি'র প্রার্থী নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাটসহ দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।‘
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভয়-ভীতি দেখাবে হামলা-মামলা ও করবে সেটা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকেও হতে পারে। এসব ভয় কে কাটিয়ে আমাদেরকে রাস্তায় নামতে হবে। অতীতে যেমন মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে, সেইভাবে ভয়-ভীতিহীনভাবে রাস্তায় নেমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমস্ত ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বিএনপিসহ-বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করলে ক্ষমতাসীন দলের দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাবে। ছাত্র-যুবক কৃষক মেহনতী মানুষ সবাই যদি রাস্তায় নেমে আসে তাহলে আমার ধারণা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আমাদের পক্ষে এবং আমরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে পারবো ‘
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, 'বর্তমান সময়ে নির্বাচন একটা হাস্যকর খেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। এ যেন বাচ্চাদের নির্বাচন নির্বাচন খেলা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন তার বিশ্বাসযোগ্যতা শূন্যের কোটায়। নির্বাচন কমিশন অতীতে যে নির্বাচনগুলো করেছে তার প্রতিটি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। যেগুলো সংশোধনের কোন উদ্যোগ তারা নেয়নি। ঢাকা উত্তর দক্ষিণের নির্বাচনের প্রায় প্রতিদিন বিরোধী দলীয় প্রার্থীর ওপরে হামলা হচ্ছে, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে, অন্যায় করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে যথাযথভাবে তা জানানো হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অতীতের খেলায় তারা অব্যাহত রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন,'বাংলাদেশের নির্বাচন মানে সরকারি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা একটি প্রক্রিয়া। এত বড় প্রহসন পৃথিবীর আর কোথাও হয় তার কোনো নজির নাই। মুক্তিযুদ্ধের পর এত বড় প্রহসন অন্য কোন সরকারের আমলে আর দেখা যায়নি। মিথ্যাকে সত্যে রূপান্তর করা এই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। সে কারণে মিথ্যাকে পরাজয়ে বাধ্য করতে হবে সিটি নির্বাচন। এটি সম্ভব যদি আমরা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং রাস্তায় নামিয়ে আনতে পারি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ইউনুস মৃধা, কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম মোল্লা, কৃষিবিদ মিজানুর রহমান লিটু, মাইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, মোজাম্মেল হক মিন্টু সওদাগার, এম জাহাঙ্গীর আলম, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কৃষকদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার হৃদয়, গোলাম সরোয়ার,৭২নং ওয়ার্ড বিএনপি'র কাউন্সিলর প্রার্থী এসএম সোহরাওয়ার্দী,৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হান্নান, খিলগাঁও থানা বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী বাবু,৭৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়কারী মো. মনিরুজ্জামানসহ অনেকে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন