নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে গত কয়েকদিন ধর্মঘট পালন করেছে বাংলাদেশের বাস-ট্রাক শ্রমিকরা।আন্দোলনে রাজধানী ঢাকা সহ সারাদেশ অচল হয়ে পরে।এমতাবস্থায় পরিবহন মালিক, শ্রমিক, যাত্রী সাধারণ এবং সরকারের প্রতিনিধিদের যৌথ অংশগ্রহণের ভিত্তিতে সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য ও যুগোপযোগী পরিবহন নীতি ও আইন প্রণয়ন করে পরিবহন খাতের নৈরাজ্য দূর করতে হবে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
বৃহস্পতিবার জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে তার উত্তরাস্থ বাসভবনে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
দলটির স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে বলা হয়েছে, কোনো রকম ঘোষণা ছাড়াই ঘোষিত-অঘোষিত ধর্মঘট করে জনগণকে জিম্মি করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর মাধ্যমে হত্যা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন, রাস্তায় ইচ্ছাকৃত যানজট সৃষ্টি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল ও লাইসেন্স বিহীন চালকের দৌরাত্মে দেশের পরিবহন খাতে চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে।পরিবহন খাতের নৈরাজ্যে জনগণের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে।সরকার পরিবহন খাতে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ।
সভায় দলের মূলধারার বাইরে গিয়ে পত্রিকায় বিবৃতি প্রদানকারী ৮ জনের প্রসঙ্গে গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে বলা হয়, জেএসডির ঘোষিত অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র হচ্ছে বিদ্যমান ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের রাজনৈতিক আকাঙ্খার বাস্তবায়ন এবং দ্বিতীয় ধারার রাজনীতির ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখা।
এ মূল নীতির ভিত্তিতেই রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ ও শাসন ব্যবস্থায় সমাজ শক্তির অংশীদারিত্ব ভিত্তিক কার্যকর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করার রাজনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।বিদ্যমান ঔপনিবেশিক স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় অংশীদারিত্বের কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা এক জটিল ও দ্বান্দিক প্রক্রিয়া।
সুতরাং এ দীর্ঘতর জটিল প্রক্রিয়ায় বিভ্রান্তি বা অস্থিরতাপূর্ণ প্রবণতা দিয়ে অংশীদারিত্বের কর্মসূচি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সংগঠনের সীমাবদ্ধতা বা কৌশলগত রাজনৈতিক অবস্থান বা বিরোধ নিয়ে দলের অভ্যন্তরেই সমাধান খুঁজতে হবে।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন