বিএনপি থেকে বেরিয়ে ২৪ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যকে নিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্ণেল অলি আহমেদ। দল প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন এলডিপির সদ্য বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
বিএনপির সাবেক এই নেতা এখন দলে ফিরছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির নীতিনির্ধারকরা এ বিষয়ে সবুজ সংকেতও দিয়েছেন তাকে। যেকোনও সময় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিএনপিতে ফিরিয়ে নেয়া হবে।
সেলিমের সঙ্গে ফিরতে পারেন সাবেক হুইপ ও সাবেক এমপি আবদুল করিম আব্বাসী, সাবেক এমপি আবদুল্লাহ ও সাবেক এমপি আবদুল গণিসহ বেশ কয়েকজন। এরা গত ২৬ জন এলডিপি থেকে পদত্যাগও করেছেন।
ছাত্রজীবনেই ছাত্রদলের রাজনীতির। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠানকালীন সময়ে চট্টগ্রাম মহনগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরে প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। সেলিম বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত প্রায় এক যুগ চট্টগ্রাম বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সেলিম। ছয়বছরের মতো ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক। ২০০০ সালে রামগঞ্জের স্থানীয় বিএনপির কোন্দলে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় সেলিমকে। পরবর্তীতে নেতৃত্ব দেন এলডিপি গঠনে।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে আমি এর রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ছিলাম। জীবনের অনেক সময় বিএনপির জন্য ব্যয় করেছি। মনেপ্রাণে বিএনপির রাজনীতি ধারণ করি। খালেদা জিয়া আমার নেত্রী। তারেক রহমান এদেশের রাজনীতির যোগ্য উত্তরসূরী। আমার অবস্থান সবসময় জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে থাকবে। বিএনপির পক্ষ থেকে যদি আমাকে দলে আহবান জানায়, সেটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। শিগগির বিষয়টি আমি আপনাদের জানাবো। এলডিপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়েই একটা সিদ্ধান্ত নেব।
এলডিপিতে আর ফিরতে চান না সেলিম। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আজকেও (বৃহস্পতিবার) একজন উপদেষ্টা যোগাযোগ করেছেন। তিনি অলি আহমদ সাহেবের কাছে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন। আমাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করবেন। যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে সেটার অবসান করতে চান। কিন্তু আমি আসলে একজন নিষ্ঠুর হৃদয়হীন ব্যক্তির নেতৃত্বে আর রাজনীতি করবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সেলিম বলেছেন, আমি এলডিপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দলের নামকরণ থেকে শুরু করে গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র তৈরি করার সঙ্গে ছিলাম। নীতিনির্ধারকদের একজন হিসেবে দীর্ঘ ১৩ বছর দল করছি। অর্থ ও শ্রম দিয়েছি। ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক সংকট যাচ্ছিল।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন