ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠনের ঘোষণা দেন সাবেক সংসদ সদস্য এমএ আউয়ালইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে নতুন দল করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল। শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি রেস্টুরেন্টে ঘরোয়াভাবে তিনি দলের প্রথম অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। তিনি নতুন এই দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমএ আউয়াল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নতুন দল করার বিষয়ে আমি গত এক বছর ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে বড় পরিসরে আত্মপ্রকাশ করবে। বলতে পারেন, এই নামেই আমি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবো।’
ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির একাধিক দায়িত্বশীল জানান, নতুন দলের মহাসচিব হিসেবে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম কাজ করবেন। এই দলটিতে তিনি তার নিজের গণতান্ত্রিক ইসলামী মুভমেন্ট নামে নিজ দলের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের প্রার্থিতাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব পদ থেকে এম এ আউয়ালকে সরিয়ে দেন দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। ওই সময় আউয়ালের অভিযোগ ছিল, ওই আসনে তরিকতের চেয়ারম্যান আর্থিক কারণে তাকে মনোনয়নবঞ্চিত করেন। পরে ওই আসনে আওয়ামী লীগের একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয় ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সম্প্রতি নতুন দলের বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন এম এ আউয়াল। পেশায় ব্যবসায়ী এই নেতা গত কয়েকমাস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে ছিলেন। নতুন এই দলটি বৃহৎ একটি জোট করার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
চলতি বছরের মে মাসে এম আউয়াল ইসলামীক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে মিলে ‘ইসলামীক ডেমোক্রেটিক পার্টি (আইডিপি)’ নামে একটি দল করার কথা ছিল। যদিও মিছবাহুর তার দল বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট বিলুপ্ত করতে অস্বীকার করায় তাকে বাদ পড়তে হয়েছে। ওই দলের এম এ আউয়ালের কো-চেয়ারম্যান হওয়ার কথা আলোচনায় ছিল।
বৈঠকে নিজের ঘর থেকে শুদ্ধি অভিযান শুরু করার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে এম এ আউয়াল বলেন, ‘এই অভিযানের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, তিনি সত্যিকারভাবেই দেশকে একটি সুন্দর লক্ষ্যে নিয়ে যেতে যান।’ এই অভিযানে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ে যেভাবে প্রভাব পড়েছে, তা আরও ধারাবাহিক রাখার আহ্বান জানান এম এ আউয়াল। আলোচনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান ও সুফিয়া রশীদ প্রমুখ।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন