বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ভারতের সঙ্গে দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯.৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেইট (ডেইরি গেইট) থেকে বিক্ষোভটি শুরু হয়ে অমর একুশের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে অমর একুশের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ছাত্রদল।
ছাত্রদলের সমাবেশ থেকে আবরারকে ভারতের আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের স্বাধীন বাংলার প্রথম শহীদ হিসাবে আখ্যায়িত করে তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন দলের নেতা কর্মীরা। মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা আবরার ফাহাদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘আবরারকে শুধু মাত্র দেশের ক্ষতির বিরোধীতা করার কারনেই হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে যেই সরকারের কুকর্মের বিরোধিতা করে তাকেই তারা হত্যা করবে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
এছাড়াও তিনি আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদার মুক্তির দাবি করেন। অবিলম্বে দেশের স্বার্থ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো সহ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘ভারতের সাথে চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ। তা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এটা শুধু আবরারের মনের কথা নয় এটা সমগ্র বাংলাদেশের দেশপ্রেমী মানুষের মনের কথা। দেশের স্বার্থ বিরোধী কোনো চুক্তি স্বাধীন দেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ মেনে নিতে পারে না। শুধুমাত্র স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব রক্ষায় দেশের পক্ষ হয়ে কথা বলার অপরাধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একজন নিরাপরাধ মেধাবী ছাত্রকে হত্যা করল। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না এবং অন্য দেশের তাবেদারিতে তারা ব্যস্ত। তাই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রলীগকে এখনই নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকল দেশপ্রেমী জনগণকে আহ্বান জানাই। আপনারা যদি স্বাধীন বাংলাদেশকে দেখতে চান, আর কোনো মায়ের বুক খালি করতে না চান। তাহলে ছাত্রলীগকে বর্জন করুন।’
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি নবীনূর রহমান নবীন, ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব ও মিজানুর রহমান রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর ও শামীম হোসেন, সালাম বরকত হলে যুগ্ম আহ্বায়ক আফফান আলী, ছাত্রনেতা হাসনাইন নাহিয়ান সজিব, শহীদ রফিক জব্বার হলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুুক ও রাশিদুল ইসলাম রোমান, বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন হাবিব হিরণ, মেহেদী হাসান, ইসরাফিল চৌধুরী সোহেল, আল বেরুনী হলের যুগ্ম আহ্বায়ক জরজিস মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ছাত্রনেতা ইকবাল হোসাইন, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মেহেদী হাসান, আমজাদ হাবিব সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সামাবেশের শেষের দিকে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী তাদের ধাওয়া করলে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন