আইন-আদালতের মারপ্যাঁচে বন্ধ রয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিল, ফলে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সরিয়ে কোন আইনে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হলো তার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন করেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ছাত্রলীগ তো আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেতা শেখ হাসিনা সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। যা নজিরবিহীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।’
প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সকল নীতি উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। এমনকি শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা। তাহলে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের যেভাবে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়েছে সে ধরনের নোটিশ কি আওয়ামী লীগের নেতাদের দিতে পারবেন আদালত? শোভন-রাব্বানীকে সরিয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হলো কোন আইনে?’
রিজভী বলেন, ‘সকল নীতি মেনে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অথচ সরকারের ইন্ধনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ছাত্রদলের কাউন্সিলে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। যা শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক রাজনীতির জ্বলন্ত উদাহরণ। আসলে বর্তমান সরকার তো অগণতান্ত্রিক। তারা তো গণতন্ত্রের পথে যাবে না। ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটা তাদের সহ্য হয় না। এজন্যই আদালতের আশ্রয় নিয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিলে অস্থায়ী আদেশ ও ১০ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুল আউয়াল খান, শেখ মো. শামীম, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন