সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মতিয়ার রহমানকে মারধর করে ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় হামলাকারী বুধহাটা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমন সরদার, হামলার সহযোগী ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ ও নাহিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আটক ইমন সরদার বুধহাটা গ্রামের হাতেম সরদারের ছেলে, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ্ একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে এবং নাহিদ বুধহাটা গ্রামের মান্নানের ছেলে।
বুধহাটা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের কয়েকবারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো. মতিয়ার রহমান জানান, ১৯ আগষ্ট দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বাড়িতে ফেরার মুহূর্তে রাস্তায় ১০-১২ জন যুবক আমার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। আমাকে বলতে থাকে, আমার ভাই আলমগীর তোর কাছে ২৪ হাজার টাকা পাবে টাকা দে। টাকা না দিলে তোকে যেতে দেবো না। আমি আলমগীরকে আদৌ চিনি না। এরপর বলে কবির টাকা পাবে। তখন আমি বলি, যদি টাকা পায় তবে আসো এক জায়গায় বসে আলোচনা করি। এরপর আমাকে মারপিট করতে শুরু করে বুধহাটার হাতেম সরদারের ছেলে মাদকসেবী ছাত্রলীগ নেতা ইমন সরদার। পাশে দাঁড়িয়ে ইমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছিল বুধহাটা এলাকার সাদ্দাম, জাহিদ, নাহিদ, সুজন, সানোয়ার।
ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, চেয়ারম্যানের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ মো. রবিউল ইসলাম ও সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য মমতাজ বেগম একত্রে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করি। এই অভিযোগ দায়ের করাকে কেন্দ্র করে আমাদের তিন সদস্যের উপর ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যান। ১১ আগষ্ট ইউপি সদস্য হাফেজ রবিউল ইসলামের উপরও বুধহাটা বাজারে হামলা চালায় সাদ্দাম, এজদাম ও হাতেম। এছাড়া মহিলা ইউপি সদস্য মমতাজের উপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বিষয়ে জেলা ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ হামেশী বলেন, ইউপি সদস্যকে রাস্তায় গতিরোধ করে চাঁদা দাবি করে ছাত্রলীগের বুধহাটা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইমন সরদারসহ সহযোগীরা। এরপর তাকে মারপিট করে সেই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে দেয় ফেসবুকে। এ ঘটনায় দশজনকে আসামি করে আশাশুনি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মারপিটের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় ইমনসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে রবিবার সন্ধ্যায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন