ওবায়দুল কাদের (ফাইল ছবি)সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১টি সুপারিশ করেছে সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বাধীন এক কমিটি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে আজ বৃহস্পতিবার সুপারিশযুক্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে। সুপারিশগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান সেতুমন্ত্রী।
সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬ তম সভায় ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিটি। গত ১৯ জুলাই সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এই কমিটিতে পরে আর আট সদস্যকে নেওয়া হয়। কমিটি সাতটি সভা করে একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।
ওবায়দুল কাদের জানান, এই প্রতিবেদনে ১১১টি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে আশু করণীয় ৫০টি, স্বল্প মেয়াদী ৩২টি ও দীর্ঘ মেয়াদী ২৯টি। সড়কে চলাচলের পরিবেশ, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকের অসতর্কতা, সড়ক নির্মাণ প্রকৌশলগুত ত্রুটি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা দফতর ও সংস্থায় দায়িত্ব পালনে অনিহা, সড়কের পাশে বসবাসরত জনগণের অসচেতনতা এসব বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আজকের সভায় প্রতিবেদনটি শুধু গ্রহণ করলাম। কোনও সিদ্ধান্ত দেইনি। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৯ তম সভা হবে বিআরটিও ভবনে। ওই সভায় ওই সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। ওই টাক্সফোর্সই এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন শুরু করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই কমিটির সুপারিশ ও সড়ক পরিবহন আইন আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। সাধারণত কমিটি গঠনের পর রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না। এই রিপোর্টটি তার ব্যাতিক্রম।’
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের বিধিমালা তৈরিতে কাজ করছে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্টমন্ত্রী। এই মুহূর্তে স্বরাষ্টমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি আগামীকাল দেশে ফিরবেন। ফিরে তিনি এই বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন।’
সড়ক পরিবহন আইনের কিছু ধারা নিয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের আপত্তি ছিল, এগুলো পরিবর্তন হবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘আইন ঠিক রেখে সমন্বয় করার চেষ্টা করা হবে। তবে বিষয়টি যেহেতু আইন প্রণয়নের, তাই আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখবেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন