কারাবন্দি ও অসুস্থ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। বরিশাল ও চট্টগ্রামের পর আগামী বৃহস্পতিবার খুলনা সমাবেশ করবে দলটি। সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের টার্গেট বরিশাল ও চট্টগ্রামে যে জনতার স্রোত ছিল তা আরও কয়েকগুনে বৃদ্ধি করা। সমাবেশ সফল করার জন্য বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
৮টি শর্তে মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে অনুমতি দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। একইসঙ্গে অনুমতি দিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন বলে জানিয়েছেন সমাবেশ বাস্তবায়নের সাংগঠনিক উপ কমিটির আহবায়ক ও নগর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম।
ইতোমধ্যে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা সেখানে অবস্থান করছেন। স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে তারা দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। খুলনা মহানগর, জেলা এবং বিভাগের ৯ জেলায় দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা, ঘরোয়া বৈঠক, গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণকে দাওয়াত দেয়া হচ্ছে।
লক্ষাধিক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে ওয়ার্ড, থানা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে। পোস্টার টানানো হয়েছে দেয়ালে দেয়ালে। কর্মসূচি সফল করতে গঠিত ১২ টি উপ-কমিটি তাদের করণীয় নির্ধারণ করে কাজ করে চলেছেন।
বিভাগীয় সমাবেশ কর্মসূচিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির ৫ জন সদস্য, নির্বাহী কমিটির শীর্ষনেতা এবং অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। বিস্তারিত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে বলে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বিএনপি একটি নিবন্ধিত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই পালন করতে চাই এবং সে জন্য তিনি পুলিশসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন। সারা দেশের বিভাগীয় সদরগুলোতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এরই মধ্যে বরিশাল ও চট্টগ্রামে জনতার ঢল নেমেছিল। শান্তিপূর্ণ এসব কর্মসূচিতে উপস্থিতি দেখে জনগণের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। ইনশাল্লাহ খুলনার তৃতীয় সমাবেশও জনতার সমুদ্রে পরিণত হবে।
প্রচারণার জন্য মাইক ব্যবহারের অনুমতি চাইলেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। তবে এ কর্মসূচিকে ঘিরে দলের সব পর্যাযের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। উজ্জীবিত কর্মীরা কর্মসূচি সফল করতে রাতদিন প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বলেও জানান মঞ্জু।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন