নানা অনিয়ম অব্যস্থাপনায় শেষ হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দ্বিতীয় সম্মেলন। সম্মেলন মঞ্চের সামনে ‘সিন্ডিকেট মানি না’ সহ নানা আপত্তিকর স্লোগানের সময় সাধারণ সম্পাদক বক্তব্য দিতে গিয়েও রাগ করে মঞ্চে বসে পড়েন।
‘চাইলে শিক্ষার উন্নয়ন, শেখ হাসিনার প্রয়োজন’ স্লোগানকে সামনে রেখে শনিবার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
যদিও সম্মেলন শুরুর কথা ছিল ১১টায় কিন্তু কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর এবং প্রধান অতিথি আসার ৩ ঘণ্টা পর সম্মেলন স্থলে আসেন।
প্রধান অতিথি আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘আমিতো সময় মতো এসেছিলাম কিন্তু শোভন-রাব্বানী দেরি করেছে।’
পরে তিনি সংক্ষেপ বক্তব্যে বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত কারার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ছাত্রলীগকে সরকারের সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। যারা নেতা সিলেকশন করবেন তারা যেনো দক্ষ, উপযুক্ত, মেধাবী ও ছাত্রবান্ধব নেতা সিলেক্ট করে। নেতা হবে দুইজন, যারা নেতা হতে পারবে না তারা যেনো নেতাদের পাশে থেকে দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজে সহায়তা করে।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম টিটন এবং উদ্ধোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
সম্মেলন স্থলে দেখা যায়, সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট পরে ক্যাম্পাসে স্লোগান দিতে থাকে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভাড়া করা লোক নিয়ে এসে নিজেদের কর্মী বানানোর চেষ্টা করে। দেখা যায়, অনেক স্কুল পড়ুয়া ছেলেও এসব টি শার্ট পরে মিছিল শোডাউনে অংশ নেন। বহিরাগতরা প্রশাসনিক ভবনের ভিতরে ঢুকেও বিভিন্ন ‘ভাইদের’ নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী মঞ্চে উঠলে মঞ্চের সামনে থাকা কর্মীরা ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগান বন্ধ করতে বললেও আল আমিন শেখের নেতৃত্বে স্লোাগান চলতে থাকে। পরে নজরুল ইসলাম বাবু, এমপি’র হস্তক্ষেপে স্লোগান বন্ধ হয়। এতে গোলাম রাব্বানী বক্তব্য না দিয়ে মঞ্চের চেয়ারে বসে পড়েন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাযনির্বাহী সদস্য এ্যাড. কাজী নজীবুল্লাহ হিরু, নারায়নগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
উল্লেখ্য, প্রেম ঘটিত বিষয়ে সংঘর্ষের জেরে তরিকুল-রাসেল কমিটি ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্তির প্রায় ৬ মাস পরে সম্মেলন হলো।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন