‘সাহস থাকলে বিএনপি তাদের নেত্রীকে আন্দোলন করে বের করে আনুক’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আমরা মুক্ত করে আনবো। কিন্তু আপনাদের মুখে বড় কথা মানায় না। কারণ আপনারা নির্বাচন করেন নাই। যদি আপনাদের সাহস থাকতো তাহলে আপনারা ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নির্বাচন করতেন না। আপনাদের জনগণের উপর আস্থা থাকলে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন করতেন। সেটা করবেন না কারণ আপনারা জানেন জনগণের কাছ থেকে আপনারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ছাত্র মিশন আয়োজিত সংগঠনটির ২০১৯ সালের কাউন্সিল উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা আজ অনেক কথা বলছেন। অথচ বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছেন। সে কারণে আজকে আমরা দেখতে পাচ্ছি ধর্ষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। দুই বছরের শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত এর হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, কেন এটা হচ্ছে কারণ এখন দেশে কোন বিচার নাই, কোন বিচার ব্যবস্থা নাই- আজকে সম্পূর্ণ বিচার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। কোন জজ আজকে নিরপেক্ষভাবে রায় দিতে পারছেন না।
সম্প্রতি পাবনার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাবনায় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে যে রায় দেয়া হয়েছে এটি সম্পূর্ণভাবে হাস্যকর। ২৫ বছর আগের ঘটনা, যে ঘটনায় কেউ আহত হয়নি কারো গায়ে একটু আছর পর্যন্ত লাগেনি অথচ সেখানে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা চিকিৎসায় সরকার মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, তিনি অসুস্থ, সেই অসুস্থ অবস্থায় তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তারা বেগম জিয়াকে ভয় পায় তারা জানে যদি বেগম জিয়া বাইরে থাকেন সমগ্র দেশের জনগণ তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে- মানুষের ঢল নামবে বাংলাদেশে।
তিনি বলেন, সরকার ছাত্র সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সে কারণে ২০ থেকে ২৫ বছরের ছেলেরা আজকে বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়েছে। আজকে বরগুনায় ০০৭ নামে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে- এদেরকে তৈরি করেছে কারা? এদের পেছনে রয়েছে বড় বড় রাজনৈতিক শক্তি ধর ব্যক্তিরা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মো. মিলনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন