বগুড়া ৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি’র সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, কৌশলে হোক আর যেভাবেই হোক সরকার চেয়েছে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে, সেভাবেই হয়েছে। আমাদের কৌশল আমাদের কাছে আর সরকারের কৌশল সরকারের কাছে। তবে নির্বাচন নিয়ে কোন সন্দেহ নেই সুষ্ঠু অবাধ হয়েছে। প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে সৌহার্দ্য ছিল। আওয়ামী লীগের যে প্রার্থী ছিলেন তিনি আসলেই একজন ভদ্রলোক।
তিনি বলেন, এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য। আমি সংসদে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাবো। দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার যাতে ফিরে পায় সে বিষয়ে সোচ্চার ভূমিকা রাখবো। তবে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি যে সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলব এবং আমার সামনে পিছনে এবং আশপাশে যারা বসবেন তাদের অধিকাংশই জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। আমি বিএনপির থেকে পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু এই ধরনের সংসদে অভিজ্ঞতা হবে প্রথম। আগের সংসদে জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন কিন্তু এবারের এই সংসদে সরকারদলীয় যারা রয়েছেন তারা কেউই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসতে পারেননি। তাই এবারের সংসদের অভিজ্ঞতাও হবে আমার জন্য একেবারেই ভিন্ন।
বগুড়া ৬ আসন টি জিয়া পরিবারের আসন। জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবারই এই আসন থেকে নির্বাচন করে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের এবং এলাকার মানুষ এই আসনটিকে জিয়া পরিবারের আসন হিসেবেই জানে।
৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে এই আসনে বেগম খালেদা জিয়া মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সাজার কারণে তার সেই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। ফলে প্রথমবারের মতো এই আসনে জিয়া পরিবারের বাইরে অর্থাৎ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে জনগণ মির্জা ফখরুল কে নির্বাচিত করে। দলীয় সিদ্ধান্তে হঠাৎ করে বিএনপি সংসদে যোগ দেওয়া এবং বিএনপি মহাসচিব এর শপথ গ্রহণ না করায় বগুড়া ৬ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। এরপর বি এন পির হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে জিএম সিরাজ কে মনোনয়ন দেয়া হয়। গতকালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে জিএম সিরাজ তৃতীয়বারের মতো বেসরকারি ভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। জিএম সিরাজের জয়ে সংসদে বি এন পির আসন সংখ্যা ৭।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন