সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালত এই নির্দেশ দেন।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি জমি বিক্রি করে প্রায় ৪১ লাখ টাকা ক্ষতি করা সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় এ আদেশ দেওয়া হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জানান, দুদকের মামলায় লতিফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। এই মামলায় আজ আদালতে জামিন নিতে গেলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
এর আগে ১৮ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় টেন্ডার ছাড়াই সরকারি পাটকলের প্রায় আড়াই একর জায়গা বিক্রির মামলায় লতিফ সিদ্দিকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, আদমদীঘির দারিয়াপুর মৌজায় বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি একসময় সরকারি ‘পাট ক্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার হতো। ২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোনো টেন্ডার ছাড়াই পরিত্যক্ত ওই সরকারি জমি বিক্রির উদ্যোগ নেন তৎকালীন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। মন্ত্রী তার পূর্বপরিচিত বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদের কাছে মাত্র ২৩ লাখ টাকায় ওই জমি বিক্রি করেন। অথচ বাজারমূল্যে ওই জমির দাম প্রায় ৬৪ লাখ টাকা।
এই অভিযোগে আদমদীঘি থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় দুদকের কাছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন