বাজেটের ‘আকার’ নিয়ে যারা গর্ব করে তারা বাজেটের কিছু বুঝে না, তারা অজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (১৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে লেবার পার্টি।
আমির খসরু বলেন, ‘বাজেটের আকার কোনো বিষয় নেয়। আকার নিয়ে যারা গর্ব করে তারা বাজেটের কিছু বুঝে বলে আমার মনে হয় না। আকার নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দিকের তাকালে তারা নিজেরাই বুঝবে, বাজেট কত ছোট ছিলো। ধীরে ধীরে তা বেড়েছে। বাজেট প্রতিবছর বাড়ে। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ও বাজেটের আকার বাড়ে। আকার নিয়ে যারা কথা বলে তারা অজ্ঞ। বাজেটের আকার নিয়ে নয়, মান নিয়ে কথা বলতে হবে।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘বাজেটে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। একটি গোষ্ঠী সব কিছু করছে। সব দখলে নিয়েছে। যে লোকগুলো আজকে রাষ্ট্রের সার্বিক ক্ষমতা দখল করে আছে তারা তো নিজেদের স্বার্থে বাজেট দিবে। এখানে জনগণের কিছু নেই। জনগণের নির্বাচিত সংসদও নেই, সরকারও নেই।’
আমির খসরু বলেন, ‘এখন ৬৭ হাজার টাকা মাথাপিছু ঋণ রয়েছে। সামনের বছর তা ৭৫ হাজারে দাঁড়াবে। যে ঋণের বোঝা তারা জনগণের মাথায় চাপিয়ে দিচ্ছে, তা থেকে জনগণ কিভাবে মুক্ত হবে?’
সুপরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘৪৫ বছর আগে মাত্র ৪টি গণমাধ্যম রেখে বাকি গণমাধ্যম বন্ধ করেছিলো তারা। ৪৫ বছর পর সেই ভূত আবার চেপেছে তাদের মাথায়। এখন ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু গণমাধ্যম সৃষ্টি করে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীরা আজ সাংবাদিক নাই। তারা নিজেরাই বলে তারা হুকুম তামিল করার কাজ করছে। সেই জন্য অনেক বিবেকবান সাংবাদিক সাংবাদিকতা ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারছে না। দেশে সংবাদ যেন গুরুত্ব না পায় তার জন্য কিছু গণমাধ্যমে ছাঁটাই করা হচ্ছে।’
আমির খসরু আরও বলেন, ‘সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্কারভাবে লেখা আছে। স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম কাজ করবে। কোনো রকম বাধা থাকবে না। কিন্তু যেভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তেমনিভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও রোধ করা হয়েছে।’
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মাহমুদের গ্রেফতারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘পুলিশ হাসান মামুনকে খুঁজে পায় কিন্তু ওসি মোয়াজ্জেমকে খুঁজে পায় না।’
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন