গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে আয়োজিত দলের বিশেষ কাউন্সিলে অংশ নেওয়া একাধিক দায়িত্বশীল নেতা এমন সম্ভাবনার কথা জানান। ২০১১ সাল থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু, যিনি আজ দলের বিশেষ কাউন্সিলে অংশগ্রহণ করেননি।
গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম পথিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের দলের মধ্যে একটা আলোচনা ছিল ভেতরে-ভেতরে। কামাল হোসেন মনে করেন, মন্টু কিছু করেননি। নানা রকম বিষয় আছে। অনেকেই মনে করেন, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সব ধরনের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সংগঠনের জন্য কাজ করেননি। আমাদের সমালোচনা ছিল।’
শুক্রবার সকাল থেকে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময় কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে।
গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাউন্সিলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। দল পুনর্গঠন করতেই বিশেষ কাউন্সিল হচ্ছে। শিগগিরই নতুন কমিটি সম্পর্কে জানা যাবে।’
গণফোরাম সূত্রে জানা গেছে, মোস্তফা মোহসীন মন্টু ২০১১ সাল থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত বছরের শেষ দিকে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় থেকে তিনি সক্রিয় হন। তিনি ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৯২ সালে দল গঠনের পর থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি গণফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা হলেন— প্রকৌশলী আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত।
গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির একনেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, মন্টুকে বাদ দিয়ে রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করবেন।’
রেজা কিবরিয়া সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে। একাদশ নির্বাচনের আগে তিনি গণফোরামে যোগ দেন। দলীয় সূত্র জানায়, মন্টুকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে দলের নেতাদের মধ্যে মোস্তাক আহমেদ, শফিকউল্লাহসহ কয়েকজন নেতার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য, যারা মন্টুকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ দিতে চেয়েছেন। শুক্রবার বিশেষ কাউন্সিলে মন্টুর অনুপস্থিতির মধ্য দিয়ে অনেকটাই পরিষ্কার হলো— তিনি বাদ পড়ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা মোহসীন মন্টু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ। তাই কাউন্সিলে যাইনি। আর সাধারণ সম্পাদক পদে থাকার বিষয়ে আমার আগ্রহ নেই, আমি এই পদে থাকবো না।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন