বিএনপি নেত্রী নিলোফার চৌধুরী মনে করেন, সংসদে না গেলে বিএনপির আর বেশি কী ক্ষতি হবে। বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় হাজত দিয়েছে। তারেক জিয়া দেশে ঢুকতে পারছেন না। লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মী হামলা মামলায় জর্জরিত। এই যে বিএনপিকে মেরে ফেলা হল এখন লাশ নদীতে ফেলবে না দাফন করবে তা তাদের ব্যপার। বিবিসি বাংলা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের দল থেকে নির্বাচিত ৬ জনের সফথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বেধে দেয়া সময়সীমার মধ্যে তারা সফথ নিচ্ছেন না। এর ফলে আসনগুলো শুন্য হচ্ছে বলেই আপতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।
কিন্তু বিএনপির হয়ে বিজয়া ৫ সংসদ সদস্য এখনো বুঝতে পারছেন না, স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত কী না। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে কী না।
বিএনপিতে এই ইস্যুতে কোন প্রভাব ফেলবে? দল কী আবার নতুন কোন সংসয়ে পড়বে? বিএিনপির একটি মহল মনে করছে সফথ না নেয়ার ও সংসদে না যাওয়ার ব্যপারে তারা শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন।
এরি মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির প্রসঙ্গটি চাওর হয়। এর মধ্যে অনেকে সফথ নেয়া না নেয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। বেগম জিয়া প্যারোলে মুক্তি নেবেন না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ বরেছেন, আমরাতো নির্বাচনকেই প্রত্যাখ্যান করেছি। ফলে সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
নির্বাচিতদের মধ্যে দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকি ৫জনই স্থানীয় নেতা। তাদের সংসদে যাওয়ার ব্যপারে ব্যপক আগ্রহ থাকারই কথা। হারুনুর রশিদ এমপি হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে হারুন বিবিসিকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত বদলায় কী না সে অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে ফখরুল ছাড়া বাকি ৫ জন সপথ নিতে পারেন বলে অনুমিত হচ্ছে। মির্জা ফখরুলকে নিয়েও দলে সমস্যা বিদ্যমান। দলের শীর্ষ নেতারা হেরে গেলেও তিনি জিতেছেন। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের টানাপোড়ন রয়েছে।
বিবিসির আশঙ্কা সফথ নেয়া না নেয়া নিয়ে দরে বিবেদ বাড়া অসম্ভব নয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন